স্কুলের ভেতর দিয়ে গেছে রাস্তা, দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

স্কুলের মাঠের ভেতর দিয়ে রাস্তা চলে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই খেলাধুলা করছে শিশু শিক্ষার্থীরা
স্কুলের মাঠের ভেতর দিয়ে রাস্তা চলে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই খেলাধুলা করছে শিশু শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে চকবাজার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মাঠের ভেতর দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত দ্রুতগতিতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করাই স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। 

উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এই প্রাথমিক স্কুলে বর্তমানে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এই স্কুলের কোমলমতি শিশুদের পাঠদানের শ্রেণিকক্ষের মাঝ দিয়ে গেছে পাকা রাস্তাটি। স্কুলের খেলার মাঠটির মধ্য দিয়ে পাকা সড়ক থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা বিরতির সময় সেখানেই খেলাধুলায় করে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। 

স্থানীয়রা জানান, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার অনেক পরে চকবাজার-নোয়াগাঁও যাতায়াতের রাস্তাটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় সেখানেই খেলাধুলা করে। এছাড়া রাস্তা সব সময় রাস্তায় গাড়ি চলাই সবসময় ভয়ে থাকে শিশু শিক্ষার্থীরা।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা বেগম বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় স্কুলটি গড়ে ওঠে ১৯৮৯ সালে। কিন্তু রাস্তাটি তারও পরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সে সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ রাস্তা নির্মাণে কোনো বাধা দেয়নি। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন রাস্তাটি স্কুলের একটি বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন দুর্জয় জানান, দুই পাশে স্কুলের ভবন রেখে মাঝ দিয়ে পাকা সড়ক নির্মাণ মোটেও ঠিক হয়নি। শিশুরা সময় পেলেই রাস্তাটির উপর খেলায় মেতে ওঠে। তা ছাড়া স্কুলের দুই পাশেই ভবন থাকার কারণে শিশুদের শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার সময়ও রাস্তা পার হয়ে যেতে হয়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই শিশুদের নিরাপত্তায় স্কুল ভবনের পেছন দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু বলেন, স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। এর ভেতর দিয়ে সড়ক থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের বলে দিয়েছি। এলাকাবাসী যদি স্কুলের পেছন দিকে যে জায়গা রয়েছে সেটি দেয় তাহলে একটি বিকল্প সড়ক তৈরি করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ