নোয়াখালীতে সামাজিক সংগঠনের জলবায়ু ধর্মঘট
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩১ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭ PM
‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ (আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ করো) দাবিতে নোয়াখালীতে জলবায়ু ধর্মঘট হয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা জানিয়ে এ কর্মসূচী পালন করে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় একশনএইড এর সহযোগিতায় এক্টিভিস্টা, এসএইচবিও এবং নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স’সহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, এসএইচবিও এর সভাপতি ফাহিদা সুলতানা, সাইবার ওয়ারিয়র্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হান, এসএইচবিওর সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনসহ বিভিন্ন এক্টিভিস্টারা।
এসময় তরুণরা দলমত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয়। তাদের প্ল্যাকার্ডগুলোতে প্রকাশ পায় পৃথিবীকে জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচিয়ে তুলার আকুতি। প্লেকার্ডে তাদের প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর; নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর, জলবায়ু সুবিচার চাই সহ ইত্যাদি প্রকাশ পায়।
বক্তারা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে মূলত দক্ষিণের জলবায়ু-সংরক্ষিত দেশগুলিতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুন বাড়িয়ে তুলছে। আমরা বাংলাদেশের তরুণরা তাই সর্বোচ্চ কার্বণ নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করা’সহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলির জন্য লস এন্ড ডেমেজ এ অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জীবাশ্ম জ্বালানির কোম্পানি ও বানিজ্যিক কৃষির মতো ক্ষতিকারক এরিয়াগুলোতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
পরিশেষে তারা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু সহিষ্ণু টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু প্রশমন তহবিল গঠনের দাবী জানান।