মহাসমাবেশের আগেই গণগ্রেপ্তার, বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মী কারাগারে

  © প্রতীকী ছবি

আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এরই মধ্যে প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে কোনো সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

জানা যায়, গত দুই দিনে রাজধানী ঢাকা সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরোনো মামলায় ৪৭৩ জনকে আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও অন্য জেলাগুলোতেও নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে বলে বিএনপির দাবি।

এদিকে গতরাতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের অভিযানে অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।

বিএনপির দাবি, ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে হঠাৎ পুরোনো ও নতুন ‘গায়েবি মামলায়’ গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশের ভাষ্য, সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বুধবার রাতে ৪৮২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বিএনপির ৩৬৬ জন। আগের দিন গ্রেপ্তার করা হয় ৭৫ জনকে।

মহাসমাবেশের আগেই দু’দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে। তাদের মধ্যে ৪৮২ নেতাকর্মীকে গতকাল কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও বিএনপি নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তল্লাশি চালানো হয় ঢাকামুখী যানবাহনেও। রাজধানীর প্রবেশপথে গতকাল রাত থেকে তল্লাশি জোরদার করা হয়।

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগের বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেনি পুলিশ। এ ধরনের কোনো অভিযোগও নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখব। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা সন্দেহভাজন বা নিয়মিত মামলার আসামি। অনেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। আশুরা উপলক্ষে এটি ডিএমপির নিয়মিত অভিযান। ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছিল। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ, এটি চলবে।


সর্বশেষ সংবাদ