রাজধানী প্রবেশমুখে তল্লাশি, পায়ে হেঁটে ছুটছে মানুষ

রাজধানী প্রবেশমুখে তল্লাশি
রাজধানী প্রবেশমুখে তল্লাশি  © সংগৃহীত

সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজধানীতে একই দিনে বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রত্যেকটি বাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বুধবার (১২ জুলাই) সমাবেশকে কেন্দ্র করে  সাভার ও আশুলিয়ার সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করছে পুলিশ। এ সময় যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে ঢাকায় প্রবেশে বাধা দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

জানা গেছে, সাভার থেকে রাজধানীতে প্রবেশের সব কয়টি পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বাসে বাসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রাজধানীর দিকে কোনো বাস স্বভাবিকভাবে আসতে পারছে না। পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে অনেক বাস ইউটার্ন নিয়ে সাভারের দিকে ফিরে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলছেন, দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের আটকে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, এটা নিয়মিত তল্লাশির অংশ। তবে বাসের যাত্রী ও চালকেরা বলছেন, গত এক মাসেও আমিনবাজার ও গাবতলী এলাকায় এ ধরনের কোনো তল্লাশি দেখেননি তারা। বাসের চালকরা বলছেন, ‘গত এক-দুই মাসে এ ধরনের তল্লাশি হয়নি। তিন ঘণ্টা ধরে বসে আছি। গ্যাস খরচ হচ্ছে, যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা

এদিকে, নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ শুরু হবে বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টায়। ইতোমধ্যে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা ভিড় করছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন এসব নেতাকর্মী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা দলে দলে সমাবেশস্থলের দিকে পা বাড়ান।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসছেন। তাদের হাতে নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বড় ধরনের শো-ডাউন করে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চায় বিএনপি। সমাবেশে অন্তত ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, আজকের সমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হবে। 

স্মরণকালের বড় জনসমাবেশ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। এই সমাবেশ থেকে সরকারকে চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দেওয়া হবে। অপরদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। আওয়ামী লীগকে বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ