তেলবাহী জাহাজে ফের বিস্ফোরণ, ১০ পুলিশসহ দগ্ধ ১৪
- টিটিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩৯ AM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৮:৫৬ AM
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল অপসারণের সময় দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর পরপরই পাশে থাকা সাগর নন্দিনী-৪ জাহাজেও বিস্ফোরণ ঘটে। এঘটনায় মোট ১৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। গুরুতার আহত দুই পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় জাহাজ থেকে ছোট ট্যাংকে তেল স্থানাস্তর করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই দুপুর ২টায় সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চারজন নিখোঁজ হন। তাদের মরদেহ ও ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারকাজ সোমবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে শেষ হয়। বিস্ফোরিত জাহাজে ডিজেল ও পেট্রোলবোঝাই ছিল ১১ লাখ লিটার। রোববার (২ জুলাই) প্রায় সাত লাখ লিটার তেল অপসারণ করা হয়। ওই জায়গায় সাগর নন্দিনী-২ ও সাগর নন্দিনী-৪ নোঙর করা ছিল।
সোমবার (৩ জুলাই) বাকি তেল অপসারণের কাজ চলছিল। এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফের ওই জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুলিশ, নৌবাহিনীর সদস্য, জাহাজের স্টাফরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এসময় অন্তত ১৪ জন দগ্ধ হন। কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: চাকরির পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় নিখোঁজ, টেকনাফে মিলল লাশ
তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক আরেক পুলিশ সদস্যকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ বাকি ১১ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম।
ইতিমধ্যে নিখোঁজ চারজনের লাশই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. সেলিম।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলালের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মাস্টার রুহুল আমিন এবং বিকেলে চালক আকরাম হোসেন সরোয়ারের লাশ পাওয়া যায়। পরে বিআইডব্লিউটিএ ফায়ার সার্ভিসের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এর আগে গতকাল রোববার জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।