বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাস টার্মিনালগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী

সায়েদাব বাস টার্মিনাল থেকে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠছেন যাত্রীরা
সায়েদাব বাস টার্মিনাল থেকে ঠেলাঠেলি করে বাসে উঠছেন যাত্রীরা  © সংগৃহীত

সকাল থেকেই রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে পরিবহনগুলো। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে দাবি যাত্রীদের।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী ঘুরে দেখা যায়, বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। তাদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে বাসই ছাড়ছে না। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা। সঙ্গে যানজট ও সকালের বৃষ্টি ঈদযাত্রায় ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। তবে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।

গ্রামে থাকা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই ফজর নামাজ আদায় করে বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছুটতে থাকেন। অনেককেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষক বাবার ৩ সন্তান এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

তবে ঈদযাত্রায় ডাবল ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ঘরমুখো মানুষের। এমনই একজন বে-সরকারী চাকরিজীবী ইমরান শুভ্র জানান, আমি ভোরে ৫টায় বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। ফরিদপুরে যাবো। তাবে এখানকার সকল পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যেখানে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া সেখানে তারা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।

এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে স্বল দূরত্বের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। যারা রাজবড়ী, পাবনা যাবেন তারা আরিচা পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করেন। এ রুটের বাসের ভাড়া ১৮০ টাকা হলেও সিট প্রতি ৩০০ টাকা করে আদায় করছে বাসগুলো।  

রাজবাড়ী যাওয়া এক যাত্রী আকাশ মাছুম বলেন, স্বল্প দূরত্বের পথ হলেও আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। মাত্র ৭৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেতে ডাবলের চেয়েও বেশী ভাড়া দিতে হচ্ছে। এদের সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি।

গাবতলীতে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সৌরভ আহমেদ জানান, গতকাল রাতে গাবতলীতে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ ছিল। আজ ভোর থেকেও মানুষ বাড়ির দিকে ছুটছে। যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে আমরা ট্রাফিকের মিরপুর জোনের ডিসির নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।

এবার ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আগামী বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২৮, ২৯ ও ৩০ জুন) ছুটি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার একদিন ছুটি বাড়িয়ে মঙ্গলবারও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই এবার ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।


সর্বশেষ সংবাদ