বাংলাদেশের দিকে আসছে ‘মোখা’, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

  © ফাইল ছবি

দেশের চার বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত উঠিয়ে স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেখানেই এই সংকেত পাল্টানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এর আগে আজ সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিণত হয় বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থার পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, এই সংকেতের অর্থ হলো অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন বাংলাদেশের দিকে আসছে। তাই সংকেত পাল্টানো হলো।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার  দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়ার অর্থ হলো, এখন ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশমুখী। এখন এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার সময়।

সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হলে সেটি হয় সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ ৮৮ থেকে ১১৭ হলে তাকে বলা হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর বাতাস যদি ১১৭ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগে বয়, তবে তা হয় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২০ কিলোমিটারের ওপরে বাতাসের গতিবেগ উঠলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়ার অর্থ বন্দরগুলো ঘূর্ণিঝড় কবলিত হতে পারে। এখন প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার সময়।


সর্বশেষ সংবাদ