দেশের বিভিন্ন স্থানে বিকেলের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিকেলের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিকেলের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা  © সংগৃহীত

খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৮ জেলাসহ মোট ২৯ জেলায় শুরু হয়েছে তাপদাহ। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাসের মধ্যেই দেশের তাপমাত্রা বেড়ে দাবদাহ শুরু হলো বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে গরম থাকার পর বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে পারে। 

রবিবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ঢাকা, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর, তা এখনো বহাল আছে। আগামী দু–এক দিনের মধ্যে এই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে যা নিম্নচাপেও রূপ নিতে পারে। সংস্থাটি আরও জানায়, আগামী দু–এক দিনের মধ্যে এই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে যা নিম্নচাপেও রূপ নিতে পারে। ‘মোখা’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা কয়েক হাজার মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রোববার নাগাদ সৃষ্ট ঘূর্ণি বাতাস নিম্নচাপে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে মোখায় রূপ নেবে কিনা তা জানতে আরও সময় লাগবে। তবে এর প্রভাবে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়বে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মে মাসে গরম ও ঝড়বৃষ্টি একই সঙ্গে চলে। তা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আজ গরম বাড়তে পারে।

দাবদাহের পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টিও থেমে নেই। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীতে আকাশ কালো করে মেঘ জমে। বৃষ্টি হয় প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে। একই সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা হাওয়ার দাপটে রাস্তায় চলাচল করা মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে অনেককে কাকভেজা হয়ে বাসায় ফিরতে হয়। অবশ্য এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা গরমের মধ্যে কাটাতে হয় ঢাকাবাসীকে।

আরও পড়ুন: তাপমাত্রা আরও বাড়বে

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

শনিবার (৬ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ