বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত

মো. সালাউদ্দীন
মো. সালাউদ্দীন  © সংগৃহীত

বরগুনার বেতাগীতে বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মো. সালাউদ্দীন নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সালাউদ্দীন ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বড় মোকামিয়া এলাকার বাসিন্দা সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বেতাগী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড় মোকামিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী মো. মনসুর আলী বেপারির হাতাহাতির মতো তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রায় দুই মাস আগে মোকামিয়া বিষখালী নদী-সংলগ্ন লঞ্চঘাট এলাকায় সালাউদ্দীনের বাবা সহিদুল ইসলামকে মারধর করেন মুনসুর ব্যাপারী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: টুইটারের নতুন নিয়ম, খবর পড়তেও গুনতে হবে টাকা।

রোববার সন্ধ্যার দিকে সালাউদ্দীন লঞ্চঘাটে গিয়ে বাবাকে মারধরের বিষয়ে মুনসুরের কাছে জানতে চান। এ সময় তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মুনসুর সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সালাউদ্দীনকে আঘাত করে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রওনক জানাহান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রওনক জাহান বলেন, ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

নিহত সালাউদ্দীনের চাচাতো ভাই মো. মাহাবুব বলেন, সন্ধ্যায় মোকামিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গেলে সালাউদ্দীনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মনসুর। এর আগেও মুনসুর সালাউদ্দীনের বাবাকে মারধর করেন।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে রাত থেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহত সালাউদ্দীনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ