নতুন রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হবে ‘গার্ড অব অনার’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন  © সংগৃহীত

গুলশানের বাসভবন ছেড়ে সপরিবারে বঙ্গভবনে উঠেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। গুলশানের বাসা থেকে স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী মোটর শোভাযাত্রা বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান। আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে নতুন রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার  (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথ পড়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়াও শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সাহাবুদ্দিন

চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। 

তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। 

বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ