গ্রুপিং নয়, জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি: মাশরাফি

জনতার মুখোমুখি মাশরাফি
জনতার মুখোমুখি মাশরাফি  © টিডিসি ফটো

আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, আমি কোনো গ্রুপিং করতে আসিনি, জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ‘জনতার মুখোমুখি জনতার সেবক’ স্লোগানকে সামনে রেখে চতুর্থ পর্যায়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের রাধানগর বাজারে জনতার প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

মাশরাফি বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চার বছরে কাজের হিসাব দিতে এসেছি। আমি আপনাদের জন্য কাজ করছি, আপনাদের এলাকার উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। কে আপনারা, কার দল করেন, এটা আমার জানার বিষয় না। সবাই আমার কাছে সমান।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের কাছে নদী ভাঙন, চিকিৎসা সমস্যা, রাস্তাঘাট, বাজার, খেলার মাঠ, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঈদগাহ সংস্কার ও নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করেন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, ছাত্র, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণ। এ সময় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা জনগণের এসব দাবি নোট করেন এবং ধারাবাহিকভাবে তাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার আওতাভুক্ত না হতে পারা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি জানান, এমপির হাতে সব সমস্যার সমাধান নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কিছু বলার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীকে ও মুক্তিযোদ্ধা হওয়া বাঞ্ছনীয়। স্বাধীনতার অনেক পরে আমার জন্ম, তারপরও আপনাদের সমস্যা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো। দরকার হলে মন্ত্রী মহোদয়ের শরণাপন্ন হয়ে আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

খেলার মাঠের বরাদ্দ ও সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, খেলার মাঠের বরাদ্দগুলো সরকারিভাবে বাতিল করা হয়েছে। এই টাকাগুলো সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ধর্মীয় স্থাপনার উন্নয়নে বরাদ্দ দিয়ে ব্যয় করা হচ্ছে। তারপরও আমার তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে মাঠের সংস্কার করবো।

মাশরাফি বলেন, দায়িত্ববোধের জায়গাটা একটু আলাদা; প্রধানমন্ত্রী আমাকে নড়াইলের মনোনয়ন দিয়ে যখন পাঠিয়েছিলেন, তখন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ওভাবে চিনতাম না। তারপরও সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দলকে ভালোবেসে আমার পাশে এসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। সবাই সরাসরি প্রশ্ন করছে, উত্তর পাচ্ছে, নিজেরাই কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানছে, যেটি আমাকে কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জনসভাগুলোতে সব সময় নেতারা কথা বলেন। কিন্তু আমার পরিকল্পনাটা একটু ভিন্ন ছিল। জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা। তারা যে কোনো বিষয়ে বলুক, সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক, আমার সম্পর্কে বা কোনো ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্পর্কে যাই বলবে তাতে নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটুকু পূরণ হলো আর কতটুকু বাকি আছে তা জানতে পারব। দুই বছর করোনা, বেশ কিছু নির্বাচন গেছে সব মিলিয়ে যতটুকু নড়াইলের উন্নয়নে করতে পেরেছি, বাকি কাজগুলোও সময়ের মধ্যে করার চেষ্টা করছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সিয়ানুক রহমান, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।


সর্বশেষ সংবাদ