‘ঘুমের মধ্যেও চাকরি হারানোর ভয়’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সামনে এক অনশনে কর্মচারীরা
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সামনে এক অনশনে কর্মচারীরা  © সংগৃহীত

দৈনিক মজুরিতে নিয়োগ পাওয়া একজন শ্রমিকের কাজের মেয়াদ ১৩ বছর পূর্ণ হলে তাকে রাজস্ব খাতে আনার নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু যুগের পর যুগ চাকরির পরও গণপূর্ত বিভাগের হাজিরাভিত্তিক শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না। দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে থাকা কর্মচারীরা। এসময় তারা বলেন, ঘুমন্ত অবস্থাতেও চাকরি হারানোর ভয় আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সামনে এক অনশনে তারা এই দাবি জানায়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অনশন করছে এই কর্মচারীরা।

কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মনির হোসেন শোভন বলেন, আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে দৈনিক ভাউচারভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর বা তার থেকেও বেশি সময় ধরে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি। কিন্তু আমাদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তুচ্ছতাচ্ছিল্য নিয়ে বেঁচে আছি।

আরও পড়ুন: ২৮ বছরেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা

তিনি আরও বলেন, দৈনিক মজুরিতে নিয়োগ পাওয়া একজন শ্রমিকের কাজের মেয়াদ ১৩ বছর পূর্ণ হলে তাকে রাজস্ব খাতে আনার নীতিমালা রয়েছে। এরই মধ্যে হাই কোর্টের রায়ের আলোকে আমাদের এক হাজার ৫১৭ জন কর্মচারীর মধ্যে থেকে ৪২ জনকে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়েছে। কিন্তু দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে সেই চিঠির কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পান থেকে চুন খসলেই চলে নির্যাতন। ঘুমন্ত অবস্থাতেও চাকরি হারানোর ভয় আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান তিনি।

এসময় অন্যরাও একই দাবি জানিয়ে বলেন, আশ্বাস দিয়েও আমাদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। বরং আমাদের নামেই মামলা দিয়ে আমাদেরই গ্রেফতার করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে গণপূর্তে একটি চক্র।

তারা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পড়াতে পারছি না। মাসে একবেলা ভালোমন্দ খাওয়াতে পারি না। ঈদ-চাঁদে একটা ভালো জামা কিনে দিতে পারি না। মানুষ আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করে। বলে, কিসের চাকরি করি? একটা ভালো জামা পরতে পারি না। এটা কিসের সরকারি চাকরি? বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হয়।


সর্বশেষ সংবাদ