স্যালুট জুনু, ভালোবাসা জুনু
- সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন
- প্রকাশ: ১৩ মে ২০২০, ০৯:৪০ AM , আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:১৬ AM
শহরে কোন ভিআইপির সাথে পরিচয় নেই আপনার। করোনাকালে হতাশ, কে দাঁড়াবে দুর্যোগে? আমি জুনুকে ফোন দেই। খাবার পৌঁছে দিতে হবে। আসছি ভাই। একজন জুনােয়েদ আহসান জুনুর নাম্বার সংগ্রহে রাখুন। ধর্ম-বর্ণ, সামাজিক প্রভাব যাই থাক না কেন আপনার। কুর্মিটোলা হাসপাতালে গেলে মনে রাখবেন জুনু আছে। জুনু হাসপাতালের কর্মী নয়। চিকিৎসা দিবে না। তবুও কেন জুনুর নাম্বার রাখা চাই?
কারণ জুনু আস্থা, আবেগ, আতেল, পাগলামী, স্বেচ্ছাসেবক। হ্যাঁ জুনু স্বেচ্ছাসেবক। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর শুনে যখন বাড়ি ভাঙ্গা, রোগী তাড়ানোর খবর শুনে অভ্যস্ত। তখন জুনু স্বেচ্ছায় হাসপাতালে অবস্থান নিয়েছেন রোগীদের সহযোগিতা করতে।
মৃত্যু অবধারিত। সেই মৃত্যু কোথায় হবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। তাই হাসপাতালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছি না। শুধু সকলের দোয়া চাই। যেন আমি সবটুকু দিয়ে মানুষের সেবা করতে পারি।
একদিন ফোন দিয়ে জানাতে চাই আজ কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে আমি জুনু কোন লাশ নামাইনি। আজ কুর্মিটোলা হাসপাতালে কোন রোগী আসেনি করোনা ভাইরাসের উপর্সগ নিয়ে। টাকা আছে আপনার ব্যাংকে কোটি কোটি কিন্তু হাসপাতালে গরম পানি, মালাটা কিনে দেওয়ার জন্য তো একটা লোক চাই। কুর্মিটোলা হাসপাতালে জুনু আছে। জুনু স্বেচ্ছাসেবক।
ঢাকার অন্য হাসপাতালগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক আহবান করা প্রয়োজন। প্রয়োজন স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। অসংখ্য জুনু মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। বিপদে আর প্রয়োজনে রাষ্ট্রের শুধু জুনুদের ব্যবহার করলেই হবে না। জুনুদের জন্য কাজ শেষে মায়ের কাছে ফেরার পথও সুগম করতে হবে।
যে জুনুর মা বুকে পাথর বেঁধে সন্তানকে মানুষের সেবার জন্য পাঠিয়েছেন। সেই জুনুর মায়ের কাছে আমার রাষ্ট্র মাথা নত করতে শিখুক। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যে জুনু সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে চায়। সেই জুনু আর জুনুর মা-ই হোক রাষ্ট্রের ভিআইপি।
শুধু কোম্পানির মুনাফার জন্য রাষ্ট্র নয়। জুনুদের জন্য দরজা উমুক্ত করুন। মানবিক রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ।
দেশটা জুনুদের হোক। জুনুদের দেশ হোক। স্যালুট জুনু। ভালবাসা জুনু। দেখা হবে বার বার করোনা মুক্ত ঢাকায়।
জুনুকে সেবা করার সুযোগ দিতে, সাহস দিতে। +৮৮০১৯২১৭৯৭৫৮৭