ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একজন খেতাব বিহীন সেক্টর কমান্ডার!

লেখক মো. আবু রায়হান
লেখক মো. আবু রায়হান  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের সাড়ে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র দেশটি ছিল এগারোটি সেক্টরে বিভক্ত। এগারোটি সেক্টরের মধ্যে ৯ নম্বর সেক্টরটি ছিল সবচেয়ে বড় সেক্টর।এই ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার/অধিনায়ক ছিলেন মেজর জলিল। তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। সংক্ষেপে এম এ জলিল। তবে তিনি মেজর জলিল হিসেবে সমধিক পরিচিত।

তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুরে ১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। এম এ জলিল তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।তিনি আইএ পাশ করে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন একজন ট্রেইনি অফিসার হিসেবে। ১৯৬৫ সালে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালের পাক –ভারত যুদ্ধে তিনি অংশ নেন। ১৯৭০ সালে এম এ জলিল মেজর হিসেবে পদোন্নতি পান।

১৯৭১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে অসুস্থ মাকে দেখতে মেজর জলিল পাকিস্তানের মুলতান থেকে ছুটি কাটাতে বরিশালে নিজ আবাসভূমিতে আসেন।পরে ছুটি শেষ হলেও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক গোলযোগ ও অস্থিরতার কারণে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে নিজ কর্মস্থলে না ফিরে পূর্ব পাকিস্তানে থেকে যান। মার্চের শেষ দিকে চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে “I am major Zia, hereby proclaims, on behalf of Sheikh Mujibur Rahman, the independence of Bangladesh……”. (“আমি মেজর জিয়া, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি……”) ।

এ ঘোষণা শোনে মেজর জলিল স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে উজ্জীবিত হন। ২৫ মার্চ কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে বাঙালি নিধন অভিযান শুরু করলে মেজর জলিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি আনুগত্য পরিহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমানের বাংলাদেশের মুক্তি পাগল নিপীড়িত মানুষকে পরাধীনতার দাসত্ব থেকে মুক্তির আশা নিয়ে মেজর জলিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধের সময় মেজর জলিল বরিশাল অঞ্চলের ডিফেন্স চিফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মুজিব নগর সরকার গঠনের পর মেজর জলিল এপ্রিলে খুলনা, বরিশাল অঞ্চল নিয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন। মেজর জলিল ৭ এপ্রিল ’৭১ সালে খুলনা বেতার কেন্দ্র মুক্ত করতে এক ঝটিকা অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২৫ শে এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল ছিল শত্রু মুক্ত অঞ্চল।২৬ ও ২৭ এপ্রিল পাক বাহিনী বরিশাল ও পটুয়াখালী দখল করে নেয়। এরপর অস্ত্র সংগ্রহের জন্য মেজর জলিল বরিশালের রাজনৈতিক নেতা কর্মী মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান ভারতে। প্রথমে ভারতের হাসনাবাদে পরে টাকিতে তিনি গড়ে তোলেন ৯ নম্বর সেক্টরের হেড কোয়ার্টার। বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালি, খুলনা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও যশোরের কিছু অংশ নিয়ে করা হয়েছিল নবম সেক্টর। ৯ নম্বর সেক্টরকে পাঁচটি সাব-সেক্টরে তিনি বিভক্ত করেন।সাব সেক্টর গুলো ছিল- সাতক্ষীরা, খুলনা, সুন্দরবন, বরিশাল ও পটুয়াখালী।

মেজর জলিল তাঁর সেক্টরের অধীনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছিলেন এগারোটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।প্রবাসী সরকার ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় মেজর জলিলের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছিল ৮০ হাজার সদস্য নিয়ে বিশাল মুক্তিবাহিনী।জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত 'হিট এ-রান' অর্থাত্‍ আঘাত করো ও পালিয়ে যাও নীতিতে অংশ নেন মেজর জলিল ও তাঁর বাহিনী। ৯ নম্বর সেক্টর হেড কোয়াটার টাকিতে বসেই তিনি বেশীর ভাগ গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। ১৯৭১ সালের ৭ই জুলাই তার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু স্কোয়াড নামে স্বাধীন সরকারের প্রথম নৌবাহিনীও গঠিত হয়েছিল। মেজর জলিলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাগণ সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান বাহিনীর সাথে সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে জয়লাভ করেন।

যুদ্ধের সময় ৩২ বছর বয়সী যুবক সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলের বীরত্বপূর্ণ সফলতা বিবিসি ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রশংসিত হয়। মেজর জলিল পুরোপুরি সফলতা ও দক্ষতার পরিচয় দেয়ার পরেও জয়নাল আবেদিন নামে অন্য একজন মেজরকে যুদ্ধের শেষ মুহুর্তে ৯ নম্বর সেক্টরে নিয়ে এসে মেজর জলিলেল সাথে সেক্টরের কাজ ভাগাভাগি করতে বলা হয়। নভেম্বর মাসে মেজর জলিলকে এ দায়িত্ব থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি দিয়ে মেজর জয়নাল আবেদিনকে ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক করা হয়। কেন ৮ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর কে ৮ নম্বর সেক্টর পাশাপাশি ৯ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়।৭ই ডিসেম্বর মেজর জলিলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরা মুক্ত করে ৮ই ডিসেম্বর বরিশাল ও পটুয়াখালী মুক্ত হয়। ১৭ই ডিসেম্বর মিত্র বাহিনী নিয়ে বিজয় বেশে তিনি খুলনা শহরে প্রবেশ করেন। পাকবাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগ্রেডিয়ার হায়াত খান ৮ হাজার সৈন্য নিয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে মেজর জলিল ও মিত্র বাহিনীর অধিনায়ক লেঃ জেনারেল বলবীর সিং এর নিকট আত্মসমর্পণ করে।

বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের ২ সপ্তাহ পরে খুলনা থেকে যশোরে যাবার প্রাক্কালে একটি প্রাইভেট কার ও একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা। যাদের সঙ্গে ছিলেন ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মেজর জলিল। এবং বাকি সকলেই ৯ নম্বর সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় যোদ্ধা যারা দেশকে মুক্ত করতে বীরত্বের সাথে জীবনবাজি রেখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছেন। ৯ নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর জলিলসহ ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করা হলো হয় ১৯৭১ সালে ৩১ ডিসেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী হিসেবে মেজর জলিলকে বন্দী করে যশোর সেনা ছাউনির একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সেনা কর্মকর্তা যাকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।এ বিষয়ে তিনি এক আত্নজীবনীতে বলেন, ‘আমারই সাধের স্বাধীন বাংলায় আমিই হলাম প্রথম রাজবন্দী।’১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশে ফিরলেন। মেজর জলিলকে ঢাকায় আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হলো। বাকিদের ছেড়ে দেয়া হলো। বঙ্গবন্ধুর সামনে জেনারেল ওসমানী সকল সেক্টর কমান্ডারদের নামের তালিকা জমা দিলেন। কিন্তু সেই তালিকায় ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের নামের স্থানে ছিল না মেজর জলিলের নাম। নাম ছিল মেজর জয়নাল আবেদিনের। একজন বীর সৈনিকের বীরত্ব,কৃতিত্ব নিবেদনের কথা পুরোটা জানা হলো না বঙ্গবন্ধুর। সকল সেক্টর কমান্ডারগণকে সেইসময় বীরউত্তম পদক দেয়া হলো। একমাত্র ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে বঞ্চিত করা হলো। কেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারের প্রতি এমন বিমাতা সুলভ আচরণ করা হয়েছিল? কেন মেজর জলিল হলেন এতোটাই নিগৃহীত ও উপেক্ষিত? ইতিহাসে তার কিছু কারণ উঠে এসেছে,

প্রথমত:মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি যেমনি ছিলেন আপোষহীন সরব তেমনি ছিলেন স্বাধীনচেতা।স্বাধীনতার পর ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন বজ্রকণ্ঠ। মুক্তিবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতার নেপথ্যের কারণ জানতে পেরে মেজর জলিলের মধ্যে ক্ষোভের তীব্র আগুন জ্বলে উঠে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর পরিবর্তে লেঃ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে জেনারেল নিয়াজীকে আত্মসমর্পণ করানোকে মেজর জলিল ভালো ভাবে নিতে পারেননি ।

দ্বিতীয়ত: ১৭ ডিসেম্বর খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানে ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে পাকিস্তানীদের সেক্টর প্রধান হিসেবে মেজর জলিলের কাছে আত্মসমর্পণ করার কথা। তা না করিয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা লেঃ জেনারেল বলবীর সিং এর কাছে আত্মসমর্পণ করানো হয়।এছাড়া মেজর জলিল ৯ নং সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দক্ষিণাঞ্চল ছিল তার যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধের শুরু থেকেই নানা বিষয়ে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মেজর জলিলের মতবিরোধ তীব্রতর হতে থাকে। অবশ্য শুধু তার সাথে না। প্রায় সকল সেক্টর কমান্ডারদের সাথেই ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল।

তৃতীয়ত: বিজয়ের পর ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ- যার মূল্য ওই সময় ছিলো ৩০ হাজার কোটি টাকা, তার সবই ভারতীয় বাহিনী ১৫টি বিশাল জাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে যায়। অথচ সেই অস্ত্রের পুরোপুরি মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা ছিলো বাংলাদেশের।ভারতীয় এ লুটেরাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মেজর জলিল।সেইসময় গার্ডিয়ান পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়, মিল ফ্যাক্টরির মেশিনাদি যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুটপাট করে ভারতীয় সেনারা। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও খাদ্যশস্য, পাট, সুতা, যানবাহন, এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজ, কারখানার মেশিনপত্র, যন্ত্রাংশ পর্যন্ত লুট করে। এই লুটের সম্পদের পরিমাণ ছিল ঐ সময়ের হিসাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার।

চতুর্থত:মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় বাহিনীর নানা ঘটনাসহ স্বাধীনতা পরবর্তী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বাংলাদেশীদের সম্পদ লুণ্ঠনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাধা দেয়ায়ই তখনকার সরকার মেজর জলিলের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পনের পর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অন্তত চারটি ডিভিশনের অস্ত্রশস্ত্র, ভারী কামান, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভারতে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিবাদ করলে টোকেন হিসেবে অল্প কিছু পুরোনো অস্ত্র ফেরত দেয়া হয়। মেজর জলিল ভারতীয় বাহিনীর লুণ্ঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ. জি ওসমানী নিকট পত্র লিখেন যা ১৭ ডিসেম্বর তাদের নিকট পৌঁছানো হয়। ভারতীয় বাহিনীর বেপরোয়া লুটতরাজের বিরুদ্ধে ক্রমেই ক্রোধে অগ্নিরূপ ধারণ করেন মেজর জলিল। হয়তো মেজর জলিল সেদিন ক্রোধে গেয়ে উঠেছিলেন

"দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা
কারো দানে পাওয়া নয়,
দাম দিছি প্রাণ লক্ষ কোটি
জানা আছে জগৎময়,।"

পঞ্চমত:মেজর জলিল যুদ্ধের পরে জাহাজে চড়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং ভোলার বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে জনসাধারণকে ভারতীয় বাহিনীর লুটতরাজ সম্পর্কে সতর্ক করতে থাকেন। ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ার, গোলাবারুদ, যুদ্ধ সরঞ্জাম, কলকারখানার মেশিনপত্র সবকিছুই লুট করে ভারতে পাচার করতে থাকে। এ সমস্ত লুটপাটের বিরুদ্ধে মেজর জলিলের বিরোধিতায় ও তার সাহসিকতা অন্যান্য সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ‘মিত্র বাহিনীর’ লুটপাটে বাধা প্রদানে উৎসাহিত করে তোলে।
এসবের কারণে মেজর জলিল তৎকালীন সময়ের শাসকের চোখের বালিতে পরিণত হন। হয়ে উঠেন ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদের প্লাটফর্মে । যে কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ হতে যুদ্ধ পরবর্তী লুটপাট হতে নিজেদের গুটিয়ে ও প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। এখনো মেজর জলিল এদেশের লক্ষ তরুণের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরভাস্বর ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রেরণার আশ্রয়স্থল।তাঁর লিখিত অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা বই খানি উল্লেখযোগ্য একটি বই।


সর্বশেষ সংবাদ