নতুন কারিকুলাম কী ও কেন?

মোঃ জিল্লুর রহমান
মোঃ জিল্লুর রহমান  © টিডিসি ফটো

শিক্ষাক্রম বা শিক্ষা কারিকুলাম হলো একটি দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থার সংবিধান। শিক্ষাক্রম বলতে মূলত বোঝানো হয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সুবিন্যস্ত পরিকল্পনাকে। কোনো একটি শিক্ষা কার্যক্রম কী উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কী বিষয় বস্তুর মাধ্যমে উদ্দেশ্য অর্জিত হবে, কখন, কিভাবে, কার সহায়তা এবং কী উপকরণের সাহায্যে তা বাস্তবায়িত হবে, শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, এসবের যাবতীয় রূপ রেখাকেই শিক্ষাক্রম বা শিক্ষা কারিকুলাম বলে। 

নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষা উপকরণ বলতে মূলত নতুন শিক্ষা কৌশলকে বোঝানো হয়েছে। পুরাতন শিক্ষাক্রমে শিক্ষা উপকরণ ছিল শুধুমাত্র পাঠ্যবই। নিঃসন্দেহে বই একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা উপকরণ। তবে নতুন কারিকুলামে নতুন শিক্ষা উপকরণ হিসাবে পাঠ্যবইয়ের সাথে আরও যুক্ত হবে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ছবির পাঠ, বর্ণধাধা, ভূমিকাভিনয়, বিতর্ক, গল্প বলা ও শোনার খেলা, প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট শিক্ষা ভ্রমণ, বক্তৃতা ইত্যাদি। অর্থাৎ নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষা উপকরণ এগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। নতুন পাঠ্যবই, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও দলগত ব্যবহারিক কাজ।

কেউ কেউ বলছেন নতুন শিক্ষাক্রমে থাকছেনা পরীক্ষা তাহলে কীভাবে হবে মূল্যায়ন, গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাধারণ মূল্যায়ন পদ্ধতি হচ্ছে পরীক্ষা যেখানে পরীক্ষার নম্বর দিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার মূল্যায়ন করা হতো। এই কারণে পরীক্ষা ভিত্তিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরা শেখার চেয়ে পরীক্ষার নম্বরের প্রতি বেশি মনোযোগ দিত। তবে নতুন কারিকুলামের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি এসেছে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে। শিখনকালীন ও সামষ্টিক এই দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। 

নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকছেনা। তবে এর উপরের শ্রেণিতে পরীক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হচ্ছে শিখনকালীন ধারাবাহিক পদ্ধতিতে। অর্থাৎ বিষয় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সারা বছর ধরে অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক কাজ, প্রকল্প ভিত্তিক শিখন চর্চা, খেলাধুলা, গ্রুপ ওয়ার্ক, কুইজ, পোস্টার প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করাবেন এবং তাদের কাজের মূল্যায়ন করবেন। 

চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এই পাঁচটি বিষয়ের উপর ৬০% শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ৪০% সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। সিলেবাস শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে সে মূল্যায়ন সেটাকেই বলা হচ্ছে সামষ্টিক মূল্যায়ন। এ বিষয়গুলো ছাড়া বাকি তিনটি বিষয় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্পকলা এগুলোর শতভাগ মূল্যায়ন শিখনকালীনই করা হবে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এই পাঁচটি বিষয়ের উপর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া বাকি চারটি বিষয় জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিখনকালীন শত ভাগ মূল্যায়ন করা হবে। 

নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান এই পাঁচটি বিষয়ের উপর ৫০% সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া বাকি পাঁচটি বিষয় জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা ও শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে। দশম শ্রেণি শেষে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির উপর পাবলিক পরীক্ষা হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের অধীন বর্তমান এসএসসি পরীক্ষার আদলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ পরীক্ষার নাম পরিবর্তন হতে পারে। 

নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে শিক্ষকদের ধারণা দিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক একটি বিশেষ স্কীম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই স্কিমের আওতায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমের অধীনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণকে বেশ কয়েকটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। 

প্রথম স্তরে শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রমের মূল বিষয় বস্তু ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করা হবে। দ্বিতীয় স্তরে শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তৃতীয় স্তরে শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবিজ্ঞতা বিনিময় ও পরামর্শ দেওয়া হবে। 

নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বদলে যাবে শ্রেণি কক্ষের পরিবেশ, পাঠ্যবই, পরীক্ষা, মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ আরও অনেককিছু। শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশে নতুন কারিকুলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে খেলাধুলা ও নানান সৃজনশীল কাজের প্রতি তারা যেন ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করতে পারে। বাড়ির কাজেরও যেন অতিরিক্ত চাপ না থাকে। সারাদিন কোচিংয়ের পিছনে দৌড়ে সময় নষ্ট না করতে হয় এবং সেই সাথে শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় কাটাতে পারে সেই বিষয়গুলোকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন কারিকুলামে। 

অনেকেই এই নতুন শিক্ষাক্রমের পক্ষে নয়। তারা গতানুগতিকতায় বিশ্বাসী। তারা মনে করেন যে, এতে পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতার উপর হঠাৎ একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। কেননা যে প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন যাবত তারা অনুশীলন করে আসছে হঠাৎ তার পরিবর্তন তারা কতটা গ্রহণ করতে পারবে তাও ভাবার বিষয়। অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। 

রাখাল-রাহা একজন অভিভাবক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার চেয়ে ব্যাবহারিকের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার ফলে পড়ার চেয়ে শিক্ষার্থীদের নানান কাজের চাপ বেড়েছে। যা অনেক অভিভাবকের ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

কেয়া তালুকদার নামের একজন বলেছেন, আমার মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে। আগে সন্ধ্যা হলে সে পড়তে বসতো এখন তারে একেবারেই পড়তে বসানো যায় না। সারাক্ষণ কি নাকি সব অ্যাসাইনমেন্ট করে, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বসে থাকে। আমি কিছুই বুঝতে পারি না, না পড়লে শিখবে কীভাবে? 

আমি ব্যক্তিগতভাবে গতানুগতিক শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন চাই বলেই নতুন শিক্ষাক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছি। আমি মনে করি পরিবর্তনশীল জগতে নিজেকে খাপ খাওয়াতে হলে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। আর এই পরিবর্তন কে করবে? শিক্ষাই এ পরিবর্তন করতে পারে। বাঙালি পরিবর্তনে বিশ্বাসী নয়। কেননা সে মুখস্থ বিদ্যায় বিশ্বাসী। মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে কেরানি হওয়া যায়, সষ্টি করা যায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শিক্ষার বাহন’ প্রবন্ধে বলেছেন, মুখস্থ করিয়া পাশ করাই চৌর্যবৃত্তি। 

যে ছেলে পরীক্ষা শালায় গোপনে বই লইয়া যায় তাকে খেদাইয়া দেওয়া হয়। আর যে ছেলে তার চেয়েও লুকাইয়া লয় অর্থাৎ চাদরের মধ্যে না লইয়া মগজের মধ্যে লইয়া যায়, সেই বা কম কী করিল? সভ্যতার নিয়মানুসারে মানুষের স্মরণশক্তির মহলটা ছাপাখানায় অধিকার করিয়াছে। অতএব যারা বই মুখস্থ করিয়া পাশ করে, তারা অসভ্য রকমের চুরি করে, অথচ সভ্যতার যুগে পুরস্কার পাবে তারাই।

শিশু আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করবে। মুখস্থ বিদ্যায় কোনো আনন্দ নেই। শিক্ষার্থীরা মুখস্থ না করতে পারলে কয়েকবছর আগেও বেত মারা হতো। মারের ভয়ে স্কুল পালাতো শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়তো। আধুনিক শিক্ষা এসেছে ইউরোপ থেকে। বৃটিশদের বদৌলতে আমরা তা পেয়েছি। তখন মুখস্থ করেই বিদ্যা শিক্ষা করতে হতো। এখন যুগ পাল্টেছে, কাজের ধরণ পাল্টেছে, বিদ্যার ধরণ পাল্টেছে। ইউরোপে বর্তমানে মুখস্থ বিদ্যা সিস্টেম নেই। বর্তমান বাংলাদেশেও যে, শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে তাও ইউরোপ থেকে আমদানি করা হয়েছে। 

বর্তমানে ফিনল্যান্ডের কারিকুলাম সারা বিশ্বে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিনল্যান্ডে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে চার থেকে এগারো পিরিয়ড পর্যন্ত। শিল্প, সঙ্গীত, রান্না, কাঠমিস্ত্রি, ধাতুর কাজ, বিদ্যুৎ, সেনেটারি ও বস্ত্রশিল্পের ক্লাস করে। মুখস্থ বিদ্যা মানুষকে বেকার ও অথর্ব হিসাবে গড়ে তোলে আমাদের দেশে যারা সচিব হন, অধ্যাপক হন তারা একটা বিদ্যুতের বাল্ব ও লাগাতে পারে না। বাল্ব লাগাতে ইলেকট্রিশিয়ান ডাকতে হয়। কেননা আর ইউরোপে মুখস্থ নয়, হাতে কলমে সবকিছু শেখানো হয়। 

নতুন কারিকুলামে ইউরোপকে অনুসরণ করা হয়েছে। জ্ঞানবিজ্ঞান, শিক্ষা-র্দীক্ষার গুরু হচ্ছে ইউরোপ। সুতরাং ইউরোপ কীভাবে তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দেয় সেটাই আমাদের অনুসরণ করা উচিত। ইউরোপে, জাপানে, কোরিয়ায়, শিশুদের প্রথমেই শেখানো হয় নিজের কাজ নিজে কীভাবে করবে? দাঁত ব্রাশ করা, গোসল করা, জামা কাপড় ধোয়া, খাওয়া-দাওয়া করা, বই-পত্র গোছানো প্রভৃতি তাদের শেখানো হয়। তারা নিজেরাই এসব করে আমাদের দেশের শিশুর ভুলেই গেছে এগুলো তাদের কাজ। তাদের এসব কাজ করে দিচ্ছে মা, বাবা কিংবা কাজের বুয়া, অথচ এরাই যখন বিদেশে পড়তে যায় তখন এই কাজগুলো তাদের নিজেদেরই করতে হয়। 

এমন একদিন আসবে যেদিন কাজের বুয়া বলে বাস্তবে কোনো শব্দ থাকবেনা। যেমন বর্তমানে রাখাল বলে বাস্তবে কিছু নেই। অথচ আশির দশক পর্যন্ত সমাজে ছিল রাখালের ছড়াছড়ি। যখন কাজের বুয়া থাকবেনা তখন কে রান্না-বান্না বা ধোয়া মোছা করবে? তখন তো ঠিকই এসব নিজেকেই করতে হবে। এখনকার ছেলে-মেয়েরা কাজ করাতো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও চলতে পারে না। যেন পোলট্রি মুরগী। মনে রাখা দরকার শরীরের নাম মহাশয় যাহা সহায় তাহাই সয় শরীরকে যত আরাম দেবেন ততই ব্যারামের অধিকারী হবেন। 

বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম প্রাইভেট, টিউশন ও কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েছে। বর্তমান কারিকুলাম প্রাইভেট টিউশন ও কোচিংয়ের থাবা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করবে। ছেলে মেয়েরা স্কুলের শিক্ষা স্কুলেই শিখে এবং আনন্দের মধ্যদিয়ে শেখে। আমাদের দেশে স্কুল বন্ধ দিলে ছেলে মেয়েরা খুশি হয়। ইউরোপ স্কুল খোলা থাকলে বরং ছেলে মেয়েরা খুশি হয়। প্রাইভেট, কোচিং ও মুখস্থ বিদ্যা উন্নত বিশ্বে না থাকলেও বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে আছে। এসব বদলাতে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয়। বিদ্যালয়ে যাওয়া হয় বিদ্যার জন্য। সেখানে শিক্ষক রয়েছেন তাহলে কেন প্রাইভেট পড়তে হবে বা কোচিং সেন্টারে যেতে হবে।

প্রাইভেট কোচিংয়ের কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কেউ ক্লাসে মনোযোগী হয় না। বিদ্যা দানের বিষয়, অর্থের বিনিময়ে বিক্রির বিষয় নয়। বিদ্যা বিক্রির কারণে শিক্ষকরা প্রাপ্য সম্মান পান না। আমাদের দেশে পরীক্ষায় ভালো করাকে মূল্যায়নের একমাত্র চাবিকাঠি বলে বিবেচনা করা হয়। পরীক্ষায় ভালো করলে সে ভালো মানুষ হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মেধার সাথে অন্যান্য গুণাবলিও বিবেচনায় আনতে হবে। নতুন কারিকুলামে সামষ্টিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তার পরেও এটা একটা পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা। আশা করি এতে সুফল মিলবে। আর ব্যত্যয় হলে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে অসুবিধা নেই।

লেখক: মোঃ জিল্লুর রহমান
প্রধান শিক্ষক
চরফ্যাসন টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয় 


সর্বশেষ সংবাদ