মেডিকেল কলেজে রাজনীতি বন্ধ চায় না ড্যাব

ড্যাব লোগো
ড্যাব লোগো  © সংগৃহীত

মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রাজনীতি বন্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপির চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের নেতারা ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন ও স্বাস্থ্য খাতের নানা অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ বলেন, মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে ড্যাব বা স্বাচিপের (আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন) রাজনীতি বন্ধের পক্ষে তারা নন। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সব ধরনের সহায়তা করতে ড্যাব প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাব জানায়, অন্যান্য খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সংস্কারকাজ চোখে পড়লেও স্বাস্থ্য খাত স্থবির হয়ে আছে। স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান কর্মকাণ্ড সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারকাজ অগ্রসর হয়নি। গত ১৬ থেকে ১৭ বছর যারা দুর্নীতি করেছে তাদের আবার পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনের দুর্নীতির দীর্ঘ বিবরণ তুলে ধরেন ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস সালাম। তিনি বলেন, এই নীতিভ্রষ্ট ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের নেতারা বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে সরকার যে কমিটি করেছে, তা অত্যন্ত দুর্বল। কমিটির সদস্যদের অনেকেরই এই খাত সম্পর্কে গভীর ধারণা নেই। কমিটির সদস্যরা এই খাতের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ড্যাব এই কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছে।

ড্যাবের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিয়োগ বাতিল, আন্দোলনের সময় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করা চিকিৎসকদের নিবন্ধন বাতিল, বঞ্চিতদের দ্রুত পদায়ন ও পদোন্নতি, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, সব ধরনের চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের পদায়ন, হয়রানিমূলক বদলি বাতিল এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটি পুনর্গঠন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিটি দাবি যুক্তিসংগত। এই ৭ দফা দাবি না মানলে চিকিৎসকরা সারা দেশে আন্দোলন শুরু করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ