মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার বিএসএমএমইউ উপাচার্যসহ ৭ বিশিষ্ট নাগরিকের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২২ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২২ PM
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ সাত বিশিষ্ট নাগরিক।
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করা অন্য ব্যক্তিরা হলেন, বিএসএমএমইউ এর উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ- উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, মরণোত্তর দেহদানের অগ্রদূত সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান।
সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ অঙ্গীকার করেন তারা। গত ১৮ জানুয়ারি ‘মস্তিষ্ক মৃত’ (ব্রেন ডেথ) ঘোষিত সারাহ ইসলামের দুটি কিডনি এবং দুটি কর্নিয়া চারজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের জন্যইও এ সংবর্ধনা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। সারাহ ইসলাম যে পথ দেখিয়েছেন, আশা করি এ পথে অনেকে অঙ্গ দান করবেন।
অনুষ্ঠানে সারাহ ইসলামের কিডনি গ্রহীতা শামীমা আক্তার বলেন, সচেতন সব মানুষ যেন দেহদানে এগিয়ে আসেন। আল্লাহ যেন সারাহ ইসলামকে বেহেশত নসিব করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন শামীমা আক্তার। তাঁকে আবেগে জড়িয়ে ধরেন সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা। পরে শবনম বলেন, আমার সারাহ বেঁচে আছে অনেক মানুষের মাঝে। আমি মনে করি না, সারাহ মারা গেছে। সন্তান হারানোর বেদনা আমার আছে। আমি আজকের দিনের অনুভূতি বোঝাতে পারব না।