গণহারে এমপিও ফাইল রিজেক্ট নিয়ে যা বলছেন মাদ্রাসার ডিজি

কে এম রুহুল আমীন
কে এম রুহুল আমীন  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সদ্য যোগ দেয়া শিক্ষকদের এমপিও ফাইল ইচ্ছাকৃতভাবে রিজেক্ট করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কে এম রুহুল আমীন।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এই দাবি করেন তিনি।

মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কারো এমপিও ফাইল রিজেক্ট করছি না। যাদের কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে কেবল তাদের ফাইলগুলোই রিজেক্ট হচ্ছে। এমপিও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামো অনুযায়ীই শিক্ষকরা এমপিও পাবেন। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।

আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়োগ দেওয়া হবে: এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও এমপিও ফাইল রিজেক্ট করা হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এরকম কোনো তথ্য আমার জানা নেই। যদি এমন কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফাইল আমার কাছে নিয়ে আসুন। কাগজপত্র ঠিক থাকলে তার এমপিও হয়ে যাবে।

এদিকে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিও ফাইল রিজেক্ট নিয়ে চরম হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। গণহারে ফাইল রিজেক্ট হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

ভুক্তভোগী শিক্ষকবলছেন, সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র পাওয়ার পর থেকেই পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। প্রতিষ্ঠান প্রধান, ম্যানেজিং কমিটির পর উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা কোন কারণ ছাড়াই তাদের এমপিও ফাইল আটকে রাখছেন। ঘুষ না দিলে ফাইল ছাড়ছেন না তারা।

আরও পড়ুন: গণহারে এমপিও ফাইল রিজেক্ট, শিক্ষকদের ক্ষোভ

সুপারিশপ্রাপ্তদের অভিযোগ, এমপিও পেতে যত ধরনের কাগজ লাগে সবগুলো সঠিকভাবে জমা দিচ্ছেন তারা। তবে কেবলমাত্র ঘুষ না দেয়ার কারণে তাদের সেই ফাইলগুলো ছাড়া হচ্ছে না। কোনোভাবে ‘ম্যানেজ’ করে এমপিওর জন্য ফাইল সাবমিট করা হলেও সেই ফাইল কোন কারণ ছাড়াই রিজেক্ট করছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। এমনকি নির্ধারিত কাগজ জমা দেওয়া হলেও ফাইল রিজেক্টে বলা হচ্ছে ফাইল জমা দেওয়া হয়নি। এতে চরম হতাশায় ভুগছেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ