ভুল কর্তৃপক্ষের, দায় মাদ্রাসা ছাত্রীর!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৩ AM , আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১১ PM
বগুড়ার সোনাতলায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার বলি হলেন এক শিক্ষাথী। অভিযোগ উঠেছে, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক ছাত্রী দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মোছা. মামুনী খাতুন নামের ওই শিক্ষার্থী আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
মোছা. মামুনী খাতুন সোনাতলা উপজেলা সদরে অবস্থিত ফজিলা শরীফ দাখিল বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রী। পৌর সদরের গড়ফতেপুর গ্রামের মো. মাহফুজার আকন্দের মেয়ে।
মাহফুজার আকন্দ জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে ফজিলা শরীফ দাখিল বালিকা মাদ্রাসা থেকে আমার মেয়ের নাম রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় প্রিন্ট আউটে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তাদের ভুলের কারণে মেয়েটি ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেনি বিধায় দাখিল পরীক্ষা দেয়া ভাগ্যে হলো না।
মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোছা. শামীমা ও শিক্ষক বদরুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য কম্পিউটারে কাজ করতে ভুলবশতঃ মামুনী খাতুনের নাম ভোলা দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্ট আউটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমরা তা সংশোধনের জন্য চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয়নি। এজন্য তার ফরম পূরণ ও ২০১৯ সালে দাখিল পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হলো না। এছাড়া ২০২০ সালে দাখিল পরীক্ষা দেয়ার জন্য তার যাবতীয় কাজ ও অর্থ ব্যয় মাদ্রাসা থেকে বহন করা হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে মামুনী খাতুনের বাবা ১২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর আলমের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও ভোলা মাদ্রাসায় ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু সময় সল্পতার কারণে মামুনী খাতুনের এবার দাখিল পরীক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। এদিকে গত ১৭ নভেম্বর দুপুরের দিকে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাড়িতে যেয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও শান্তনা দেন।