ভুলের মাতৃকাল

সাজেদুল হক
সাজেদুল হক  © টিডিসি ফটো

অমিত্রাক্ষর ছন্দে বেহাল অবস্থা
ভাই বললেন বিচারক হিসেবে আছি আমরা।

দুঃখ সরোবরে বৃটিশ ইংরেজি নবাবদের মানসপটে তখন সেপ্টেম্বর মাস
আমি ক্লান্ত ভীষণ
একাকী জীবন-অপরাহ্ন হলেই অলসতা পেয়ে বসে ধীরগতির বাংলা শ্রাবণ মাসের নিনাদ

সমুদ্র 
সেতো ছবির মতো সুন্দর এক রূপবতী কিশোরীর শাড়ীর আঁচল
যেখানে নদী এসে তার ওষ্ঠে দিব্যি আবিষ্কার করে এক নবাগত শিশুর আপন আশ্রম

অথচ দৃষ্টি আমার আটকাবে কোন দৃশ্যপানে?
শরৎ মেঘের রাজ্যে হেমন্তের রোদ্দুরে
নিষ্পাপ ঘুঘু পাখির ডাক

এতটুকুতেও মন স্বতঃস্ফূর্ত হয়নি ভেবে,
ধান শালিক বলে আমার হৃদয় নগরীর স্নিগ্ধ বকুল ফুলের গাছ কেন তুমি কেড়ে নিলে?

তবে কি বন্ধু আমার উদাসী দুপুরে
ছদ্মবেশী নারীর মায়ার রাজনীতির রঙমহলের কথা ভাবে?

আমার ভেতর বাড়ি তুমি সব চেনো
তাই সহজেই প্রবেশ করো নিষিদ্ধ মাতৃদুগ্ধ পানে
আজ কদিন ধরে পলাতক সূর্য, বৈরী হাওয়া বার্তা দিচ্ছে
আকাশজুড়ে ঝড়ো বৃষ্টির বেগতিক আভাস

অক্টোবর রেইনে-বিশ্বাসী যে চেতনা ছিলো খোদার ওই আরশ হতে
মন্ত্রমুগ্ধ কিতাব আল-কেরআনে।
ইবলিশ ব্যতীত মেনেছিল ফেরেশতা, আদম হতে কূলমাখলুকাত

হৃদয় উপত্যকায় যেই করুণ বাঁশির সুরে
মিহি হাওয়ায় ওহী এসেছিলো তোমার-আমার সর্বনাম জুড়ে বদলে যাওয়ার।

বরং এই আত্মলোভী নারী কেড়ে নিলো আমাদের সোহবতে শামিল হওয়া থেকে,
‘বন্ধুত্ব’ ফুল থেকে ভ্রাতৃত্বের অধিকার।
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে দক্ষ না হতে পেরে, থেকে গেছে আজো প্রণয়ের অভিধানে ‘ভুলের মাতৃকাল’


লেখক: শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ


সর্বশেষ সংবাদ