সাক্ষাৎকারে প্রক্টর
প্রশ্নফাঁসের নজির নেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:২৩ PM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:১২ PM
আগামী শুক্রবার এবং শনিবার অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা। শুক্রবার বিকাল ৩টায় ‘বি’ ইউনিটের আর শনিবার সকাল ১০টায় ‘সি’ ইউনিট এবং বিকাল ৩টায় ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের অধীনে ৩টি ইউনিটে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৯টি বিভাগে এক হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬৩ হাজার ৩৬০ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেছেন। ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন কুবি প্রতিনিধি-শাহাদাত বিপ্লব
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার কয়টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: মোট ১৯টি কেন্দ্রে এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ এউনিট ১৯টি কেন্দ্রে, ‘বি’ ইউনিট ১৬টি এবং ‘সি’ ইউনিট ৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভর্তি জালিয়াতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এমন নজির নেই। এদিক থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই ডিফরেন্ট। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের কোন রেকর্ড নেই।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সেটার কারণ কি?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: আমাদের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট কনভেনাররা এবার নিজ তত্ত্বাবধানে প্রশ্ন সংরক্ষণ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই এবং আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ে অবজারভেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, র্যাব, ডিএসবি, এনএসআই অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকরাও সহযোগীতা করলে আশা করছি আমরা সুষ্টুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো। আর পরীক্ষার দিন ৪ জন মেজিস্ট্রেট থাকবেন যারা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবেন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একইদিনে ভর্তি পরীক্ষা। এক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছুরা ভোগান্তির শিকার হবে কি না?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: ওটা শিক্ষার্থীরা চয়েজ করবে। সামনে নির্বাচন থাকায় এটা একটু কঠিন। কোথায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে সেটা তারাই ঠিক করবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ ব্যবস্থা চালু থাকবে কি না?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিবহণ চালু থাকবে না। তবে প্রশাসনিক কাজে গাড়ি চলবে। কোটবাড়ি রোডে কাজ চলছে অপরদিকে বেলতলী রোড সংকুচিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছুদের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব নয়।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসলে ভর্তিচ্ছুরা প্রতিবছর ‘র্যাগিং’ এর নামে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। র্যাগিং প্রতিরোধে প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটি সন্ধ্যার পর থেকেই টহলে থাকবেন। ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। র্যাগিং এর ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ নষ্ট হবে। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভর্তি পরীক্ষা আসলে ক্যাম্পাসগুলোতে খাবারের চড়া দাম রাখা হয় এবং যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিশ্বদ্যিালয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: খাবারের হোটেলে এবার অতিরিক্ত টাকা রাখলে প্রশাসন ব্যাবস্থা নিবে। আর যেহেতু পরীক্ষার সময় জ্যাম থাকে এক্ষেত্রে যানবাহনে একটু বেশী রাখে। আমরা এ বিষয়ে কথা বলবো।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শৃঙ্খলার দায়িত্বে কারা থাকছেন?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটি থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট থাকবে। প্রতিবছর বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট প্রচুর পরিশ্রম করে। এবারও বিএনসিসির ৭০ জন এবং রোভার স্কাউটের ৭০ জন নিয়োজিত থাকবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য কিছু বলুন?
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিবে সে আশা করছি। আর ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে ছাত্র সংগঠন এবং সাংবাদিকদের প্রতি আশা একটু বেশি থাকবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন: ধন্যবাদ।