২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি কীভাবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি সম্ভব হয় সব বিষয়ে নেওয়ার, তাহলে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে। তবে তাঁরা আশা করছেন, সব বিষয়ের পরীক্ষাই নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১৪ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ২৩ নভেম্বর। করোনার কারণে এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। অন্য বছরের মতো এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি।
শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ের ওপর সময় ও নম্বর কমিয়ে এ পরীক্ষা হয়। অন্য আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। এসব বিষয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে নম্বর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফল প্রকাশ, পাশের হার ৯৩.৫৮
এখন করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের আশঙ্কায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে আগামী মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ পরিস্থিতিতে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও এবারের মতোই হবে কি না, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে না যায়, তাহলে আগামী বছরের মাঝামাঝি এসএসসি পরীক্ষা এবং তার পরপর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। সে জন্য পরীক্ষার্থীরা এখন থেকেই প্রতিদিন ক্লাস হচ্ছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, সেখানে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে নাকি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পূর্ণ বিষয়গুলোর পরীক্ষা হবে।
এদিকে, আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তিনি বলেছেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দিয়েছি। তারা উপাচার্যদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।