ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট  © সংগৃহীত

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের পদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে শিক্ষাসচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ‘আমার পেছনে লাগলে শুধু ভিকারুননিসা না, দেশ ছাড়া করব’-অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস

রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, শিক্ষা আইন ভঙ্গ করে শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক কামরুন নাহারকে ভিকারুননিসায় (বেসরকারি স্কুল ও কলেজ) অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই তার পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেছি।

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফোনালাপ ফাঁস হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। ওই ফোনালাপে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সাথে কথা বলতে শোনা যায়। দু’জনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এই ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারাদেশে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

আরও পড়ুন- কামরুন নাহার আর ৮-১০টা অধ্যক্ষ-ভিসিদের পার্থক্য কোথায়?

ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, আমি যেমন শিক্ষক, তেমনি রাজনীতি করা মেয়ে। আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। ব্যাগে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করবো।

ফোনালাপ ফাঁসের পর তার পদত্যাগের দাবি করেন অভিভাবকরা। তবে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এর পেছনে অভিভাবকদের অনিয়ন্ত্রিত অন্ধকার অধ্যায় রয়েছে বলে দাবি করেন।


সর্বশেষ সংবাদ