এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত আগামী বৃহস্পতিবার
- শিউলী রহমান
- প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৩৭ AM , আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:০১ AM
করোনাভাইরাসের কারণে পাঁচ মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কারণে আটকে গেছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও। তবে এ পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। সেজন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসছেন তারা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে ওইদিন দুপুর ২টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এইচএসসি, একাদশের ভর্তি ও ক্লাস শুরু নিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানরা বসবেন ২৪ সেপ্টেম্বর। সেখানে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরি হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।’
‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিগগিরই এমপিওভুক্ত হবে’
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অন্তত ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা হবে। এত পরীক্ষার্থীসহ সবাই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাবেন। এটুকু নিশ্চিত যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে এইচএসসি ও সমমানের নতুন সূচি ঘোষণা করা হবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এখনও নতুন সময়সূচি প্রকাশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
করোনার কারণে কয়েক দফায় গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এখন এইচএসসি নিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিজস্বভাবে চিন্তাভাবনা করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে পারে। অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনো অনিশ্চিত।
করোনার কারণে ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। প্রবেশপত্র ও উত্তরপত্র বিতরণও স্থগিত করা হয়। এসব সরঞ্জাম ২২ থেকে ২৪ মার্চ বিতরণের কথা ছিল। শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের ‘জেড আকৃতিতে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সে ব্যাপারে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা।
আমার ছেলেও বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সুপারিশের সুযোগ ছিল না