হদিস পাওয়া যাচ্ছে না শিক্ষক প্রশান্ত কুমারের

প্রশান্ত কুমার পাল
প্রশান্ত কুমার পাল  © সংগৃহীত

ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরি করা কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রশ্নপত্র নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যেই গা ঢাকা দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার সকালে কলেজে এলেও পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি।

কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল বলেন, প্রশান্ত কুমার পাল সকালে কলেজে এসেছিলেন, এরপর চলে গেছেন। সেই থেকে তার মোবাইল বন্ধ। তার বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নিবে আমি তা কর্যকর করব।

অধ্যক্ষ আরও বলেন,  প্রশান্ত কুমার পাল একজন ভালো শিক্ষক। তবে প্রশ্নের একটি অংশে যেভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হয়েছে তা তার কাছ থেকে কারও কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। 

অপরদিকে তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজরা খানা গ্রামে গিয়েও দেখা মেলেনি তার। বাড়িতে বৃদ্ধ মা আর ভাই ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন: এইচএসসির দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২১ হাজার, বহিষ্কার ২৩।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বাংলা প্রথমপত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত।’ প্রশ্নটি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। 

আরও প্রশ্নপত্রটি পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রথম দিনই দুই শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে একটি উদ্দীপকে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার মতো কথামালাযুক্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। আর কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নে ‘পীর’ সংক্রান্ত শব্দগত দিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ