এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ থাকছে না। প্রশ্ন বিতরণ ও আনা নেওয়ায় নিরাপত্তাও আরও দোরদার করা হবে। আগের ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিবের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখেছি। এ বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এইচএসসি পরীক্ষায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, আমরা পেছনের ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমাদের কোথায় কোথায় গ্যাপ বা ফাঁক ছিল সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষায় যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, আমরা সে বিষয়ে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির সভায় আলোচনা করেছি।

আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা ২ ঘণ্টা, কমলো নম্বরও

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় মূলত প্রশ্নফাঁস হয়নি। একজন কেন্দ্রসচিব তার ক্ষমতা অপব্যবহার করে নির্ধারিত প্রশ্নের বাইরে লকার থেকে পরবর্তী পরীক্ষার কযেকটি বিষয়ের প্রশ্ন নিয়েছিলেন। এ কারণে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। প্রশ্ন সর্টিং ও লকার থেকে বিতরণ করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ কারণ ছাড়া তার প্রতিনিধি পাঠানো যাবে না।

পরীক্ষা শুরুর আগে কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হলেও স্কুল-কলেজ, শিক্ষকের বাড়িতে কোচিং বন্ধ থাকে না উল্লেখ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমরা কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে পারি না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটি করে থাকে।

‘‘আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যদি কোনো শিক্ষক তার বাসায় শিক্ষার্থীদের কোচিং করান, তাদের চিহ্নিত করা কঠিন কাজ।’’

আগামী ৬ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। মোট ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসবে। মোট ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ