স্কুলে ভর্তি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ AM , আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ AM
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ১ম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর প্রধানদের পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মাউশির এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
মাউশি জানিয়েছে, লটারিতে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল শিটে নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: লটারিতে বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির ‘সুযোগ’ পেল বালক!
ভর্তির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারিতে শিক্ষার্থীর নির্বাচিত হয়েছে কি না, হলে প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ সেসব বিষয় যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবে।
ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে ভর্তির সময় এ কোটাগুলোতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।
এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এ শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।