পারস্পারিক বদলি নীতিমালা প্রত্যাখ্যান ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা পারস্পারিক সম্মতির ভিত্তিতে বদলি হতে পারবেন। এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ বদলি নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে ‘ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’-এর সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে  যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তাতে এক শতাংশ শিক্ষকও উপকৃত হবেন না। এই বদলি নীতিমালা কেউ চায় না। ‘বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’ সহ সকল শিক্ষক সমাজ পারস্পরিক বদলির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছেন। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি শূন্য পদের বিপরীতে সমপদ/সমস্কেলে অধিদপ্তর নির্বিশেষে একই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি চালু করা। যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে এটা সংস্কার করে দ্রুত শুন্য পদের বিপরীতে বদলির ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং কিছু আমলার কারণে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া শূন্য পদের বিপরীতে বদলি চালু হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শিক্ষক সমাজের দাবি পূরণ করবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষা উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, তারা যেন শিক্ষকদের প্রাণের দাবি শূন্য পদের বিপরীতে সমপদ/সমস্কেলে অধিদপ্তর নির্বিশেষে বদলি কার্যক্রম চালু করার ব্যবস্থা করেন। উপদেষ্টাদের কাছে এটাও আশা করি বদলির ক্ষেত্রেও কোন বৈষম্য থাকবে না।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে কমিটির পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকরা। এভাবে একজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএ’র হাতে যাওয়ায় সে সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। নিজ এলাকার বাইরে চাকরি করতে হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।

শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২২ অক্টোবর বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সে কর্মশালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

সে পরামর্শের আলোকে বদলির খসড়া তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়। খসড়া নিয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মশালায় বদলির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়। আজ রোববার এ নীতিমালা চূড়ান্ত করে পরিপত্র কবে জারি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় তা থমকে গেছে। এখন পারস্পারিক বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। তবে এই নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা।


সর্বশেষ সংবাদ