আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

অধ্যক্ষ-সভাপতির অনিয়ম-দুর্নীতি, শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বিচার দাবি অভিভাবক ফোরামের

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ  © ফাইল ছবি

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরাম। সোমবার (১২ জুন) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাহিম উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক রোস্তম আলী গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। 

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরকার পরিচালিত লটারি ছাড়াই বিভিন্ন শ্রেণিতে শতাধিক শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে ভর্তি করানো হয়েছে। ভর্তিতে শিক্ষার্থী প্রতি ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ করে টাকা নেয়া হয়েছে। 

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ক্যাসমেন্ট এরিয়ায় মতিঝিল ক্যাম্পাসে শুধু মাত্র মতিঝিল এজিবি কলোনি দেখিয়ে ৪০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে শত শত আসনে টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে সভাপতি ও অধ্যক্ষ কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে—উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

একই সাথে জানানো হয়েছে, কোন লটারি ছাড়াই গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু হেনা মোর্শেদ জামান ১৫, অধ্যক্ষ ফৌজিয়া ১৫, শহিদুল ইসলাম ১২, গোলাম আশরাফ তালুকদার ১২, মোস্তাক আহম্মেদ ১২টি সহ অন্যান্য সদস্যরা ১০ ও ৪টি করে কোটা ভাগ করে শতাধিক শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মতিঝিল আইডিয়ালের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে তলব হাইকোর্টের

গভর্নিং বডির প্রত্যেক সভায় উপস্থিতির জন্য সভাপতি ২৫ হাজার টাকা এবং অন্য সদস্যরা ৬ হাজার করে সম্মানী নিয়ে থাকেন। যা দেশের অন্য কোন স্কুল কলেজে নেই জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন খাত তৈরি করে অভিযুক্তরা লক্ষ লক্ষ টাকা ভাউচারের মাধ্যমে লুটপাট করছে। এছাড়াও চলতি শিক্ষাবর্ষে ডাইরি ও ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে অধ্যক্ষ ও সভাপতির স্বাক্ষরে পেমেন্ট দিয়ে ২৯ লক্ষ টাকা লুটপাটের অভিযোগ জানানো হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অনুমোদন ছাড়াই গত ২ মাসে ৮০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে তাদের অধিকাংশের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ লক্ষ করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন খাতে বার্ষিক মেইন্টেনেন্স ওয়ার্কে ৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ রেখে কাজ না করে টাকা তুলে লুটপাট করা হচ্ছে।

অভিভাবক ফোরামের নেতারা জানান, বর্তমান গভর্নিং বডিতে খুনের মামলার চার্জ-শিটভুক্ত আসামী, ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনকারী, পরকীয়ায় সম্পৃক্ত শিক্ষিকা, বাগান বাড়িতে ছাত্রী সাপ্লাইয়ার ও দুর্নীতিবাজরা রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ