ত্বক উজ্জ্বল, হজমে সহায়তা— কিশমিশ ভেজানো পানির গুণে চমকে যাবেন
সকালে উঠে ভেজানো বাদাম বা কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, কিশমিশ খাওয়ার পাশাপাশি সেটি ভেজানো পানিও কতটা উপকারী। সাধারণত কিশমিশ তুলে নেওয়ার পর আমরা সেই পানি ফেলে দেই। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, সারা রাত ভিজে থাকার পর কিশমিশের মূল্যবান পুষ্টি উপাদান ওই পানিতে মিশে যায়। সেই পানি নিয়মিত খেলে ডিটক্সিফিকেশন থেকে শুরু করে হজমশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে শরীরে যে ধরনের উপকার হয়:
১. ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস
কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
আরও পড়ুন: নকল ওষুধে জীবনহানি! জেনে নিন চেনার উপায়
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ভেজানো কিশমিশের জলে পটাশিয়ামের পরিমাণ থাকে বেশি, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
এই জলে থাকা দ্রবীভূত ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত এই পানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৪. শরীর থেকে টক্সিন দূর করে
জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ, দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে টক্সিন জমে। কিশমিশের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও পলিফেনল সেই টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
৫. আয়রনের ঘাটতি কমায়, রক্তশূন্যতায় উপকারী
আয়রনের ঘাটতি থাকলে কিশমিশ ভেজানো জল বিশেষ উপকারী। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং লোহিত কণিকা তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।
৬. ক্লান্তি দূর করে, এনার্জি বাড়ায়
ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে কিশমিশে, যা দ্রুত শক্তি জোগায়। শরীরচর্চার আগে বা পরে একমুঠো কিশমিশ বা এর জল খেলে ক্লান্তি দূর হয়।
আরও পড়ুন: শুধু স্ক্রিনটাইম নয়, এসব অভ্যাসেও করছেন চোখের ক্ষতি
৭. হাড় মজবুত করে
কিশমিশে থাকা ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ের মতো সমস্যাও রোধ করতে পারে।
কীভাবে খাবেন কিশমিশ ভেজানো পানি
রাতে ঘুমানোর আগে ১০–১৫টি কিশমিশ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে সেই কিশমিশ খেয়ে পানিও পান করুন। নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ এভাবে খেলে উপকার মিলবে চোখে পড়ার মতো। ডায়াবেটিস রোগীদের কিশমিশ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে।