‘মিডিয়ার বিয়ে টেকে না’ বলে আমার সহকর্মীদের ছোট করবেন না

হারুন অর রশীদ অপু ও শবনম ফারিয়া
হারুন অর রশীদ অপু ও শবনম ফারিয়া  © সংগৃহীত

টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এর মাধ্যমে দারুন পরিচিতি পেয়েছেন। পরিচ্ছন্ন অভিনয়শিল্পী হিসেবেও সুনাম আছে শবনম ফারিয়ার। তবে তাঁর জীবনেই ‘ক্রাইসিস’ আসবে হয়তো ভাবেননি অনেকেই। তবে তাকেও শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হলো। তবে এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন শবনম ফারিয়া। বিচ্ছেদের পর ফেসবুকে যৌথ বিবৃতি দিয়ে তাঁরা বলেছেন, সুখের জন্যই আলাদা হয়েছেন তারা।

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফারিয়া জানিয়েছেন, ‘আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে। তাদের কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না। আমার মা সব সময় একটা কথা বলেন, আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি! ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেক দিন একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দেখলাম, বিষয়টা একপর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়। মানুষ কী বলবে ভেবে নিজেদের ওপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা।’

তিনি বলেন, জীবনটা অনেক ছোট, কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কী দরকার? এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি, একসঙ্গে থেকে কষ্টে করতে চাই না। তবু পরস্পরকে বুঝতে বছরখানেক সময় নিয়েছি। ফাইনালি আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন ভেবে আমরা আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে পুরোনো বন্ধুত্বে ফিরে গেছি। অপুর জন্য দোয়া, ভালোবাসা আর শুভকামনা। যে সুখের জন্যে আলাদা হলাম, আমরা যেন সেই সুখ খুঁজে পাই। সবাই সেই দোয়া করবেন।’

এসময় একটি অনুরোধ জানিয়ে ফারিয়া লিখেছেন, ‘দয়া করে মিডিয়ার বিয়ে টেকে না- ধরনের কথা বলে আমার অন্য সহকর্মীদের ছোট করবেন না। আমরা সম্পূর্ণ পারিবারিক কারণে পারিবারিকভাবে বিয়ের মতো ইনস্টিটিউশন থেকে বের হয়ে এসেছি। আমাদের ভালোবাসা বা বিশ্বাসের অভাব ছিল না, হবেও না। দুজন মানুষের বিবাহবিচ্ছেদ মানে, দুটো পরিবারের বিচ্ছেদ, অনেক স্মৃতির বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদটা কারও জন্য সুখকর অনুভূতি না। তবু আমরা পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে চাই।’

২০১৫ সালে ফেসবুকে পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব ও প্রেম হয়। এর তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদলের পর গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। আনুষ্ঠানিক বিয়ের এক বছর ৯ মাসের মাথায় বিচ্ছিন্ন হলেন তাঁরা।

বিচ্ছেদের বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘সমস্যাটা আমাদের দুজনের চেয়ে বেশি দুই পরিবারের। বাবা নেই, মাকে নিয়ে আমার পরিবার, তার ওপর বিনোদনে কাজ করি। আর দশজন মেয়ের চেয়ে আমার বিবাহবিচ্ছেদ ভিন্ন। আমাদের সমাজ মেয়েদের দোষটাই আগে দেখবে। সে কারণে চেষ্টা করেছি, যাতে সংসারটা টেকে। কিন্তু কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি।’ তবে স্বামীর সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।


সর্বশেষ সংবাদ