‘লিভ টুগেদার’ ইস্যুতে স্বাগতাকে ফের আইনি নোটিশ, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

জিনাত সানু স্বাগতা
জিনাত সানু স্বাগতা  © সংগৃহীত

সম্প্রতি ‘লিভ টুগেদার’ ইস্যুতে নিজের বক্তব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবল বিতর্কিত হয়েছেন অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। ছোটপর্দার অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী স্বাগতার বক্তব্যের বিরুদ্ধে ফের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

এবার জিনাত সানু স্বাগতাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইনি নোটিশ পেলেন ছোটপর্দার এই অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) ঢাকা বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মাধ্যমে সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিভ টুগেদার বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইনি নোটিশের বিষয়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘অভিনেত্রী স্বাগতার বক্তব্যে বাংলাদেশের চিরায়ত সমাজব্যবস্থা ভাঙনের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি আমরা। তার বক্তব্যটি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধগত সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি, যা একটি সামাজিক অপরাধ। ডিভোর্স নরমালাইজ হওয়া কোনো ভালো ব্যাপার নয়। আর লিভ টুগেদার বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কাজেই, দেশের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের কেউ ভাঙতে চাইলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ সেটা মেনে নেবে না। আমরা স্বাগতাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নইলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’

এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর আরিফুল খবির নামে এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাগতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে প্রথম আইনি নোটিশটি পাঠান।

উল্লেখ্য, এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছেন, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। স্বাগতা অকপটে ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আর হাসান এক বছর লিভ টুগেদার করেছি। তারপর দু’জন দু’জনকে পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেছি। আমাদের লিভ টুগেদারের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। যার ফলেই আমরা বিয়ে করি।’

অভিনেত্রী জানান, তাদের লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্তে পরিবারের কোনো সমস্যা ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দু’জনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার ভাই-বোনও বলেছে, কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে আসলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা, এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল, তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখো, সারাজীবন থাকতে পারবে নাকি। তারপর সিদ্ধান্ত নেও।’

স্বাগতা আরও বলেন, ‘সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ