মঞ্চে নোবেলের মাতলামি, যা বললেন স্ত্রী
আবারও বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। তার মাতলামিতে পণ্ড হয়ে গেছে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান। মঞ্চে নোবেলের মাতলামিতে বিরক্ত হয়েছেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। তার এমন কাণ্ডে কিছু দর্শকরা তার দিকে পানির বোতল, জুতা এবং ঢিল ছুড়ে মারেন।
বিষয়টি নজড় এড়ায়নি নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের। নোবেলের এমন কাণ্ডে বিরক্ত তিনি নিজেও। গায়ককে ভালো করার চেষ্টায় ব্যর্থ তিনি এমন দাবি সালসাবিলের। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সকাল থেকে শুরু করে ডজন খানেক নিউজ। সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তোবা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদক ঘটিত। যেরকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে এমন ছিল না। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা।
আরও পড়ুন: নোবেলের মাতলামিতে পণ্ড অনুষ্ঠান, দর্শকরা ছুড়লেন জুতা-ঢিল
যোগ করে তিনি লেখেন, শো-তে যাবার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া, সা রে গা মা পা চলাকালীন সময়ে পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার। আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন নোবেল ও সালসাবিল। সেই খবর ফেসবুকে প্রকাশ পায় ২০২০ সালের মে মাসে। যদিও বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো নয় নোবেলের। যার কারণে বর্তমানে তারা আলাদা থাকছেন। তবে তাদের ডিভোর্স হয়নি।
আরও পড়ুন: নোবেল নেশা করে মঞ্চে উঠবেন, ভাবনাতেই ছিল না আয়োজকদের
ঈদের দিন নোবেল ওই পোস্টে লেখেন, সিঙ্গেলদের আবার কিসের ঈদ? যাই হোক, ঈদ মোবারক। এরপরেই সালসাবিল বলেন, গত মাসেই আমরা একসঙ্গে দুবাই বেড়াতে গিয়েছিলাম এটা ভেবে যে, সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। কিন্তু দেশে আসার পরেই সে আবার আগের জায়গায় ফিরে গেছে। নোবেল নেশা না ছালেড় হয়তো এই সম্পর্ক বেশিদূর টেনে নেওয়া সম্ভব না।
এর আগে ২০২০ সালে বান্দরবানের একটি ঘটনার কারণে নোবেলকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছিল সালসাবিল। ওই সময় নোবেল নেশায় আসক্ত ছিল। পরে নোবেল ভুল স্বীকার করে এবং নেশা থেকে বিরত থাকলে তার চিকিৎসার চেষ্টা করেন। তবে কিছুদিন যাওয়ার পর নোবেল আবারো নেশা শুরু করে। যার ফলে আলাদা থাকতে শুরু করেন নোবেল ও সালসাবিল।