সিজিপিএ-৩.৯৭ নিয়ে ট্রল, জবাবে যা বললেন সাবিলা নূর

সাবিলা নূর
সাবিলা নূর  © সংগৃহীত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ইংরেজি সাহিত্যে এই অভিনেত্রী সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩.৯৭। প্রথমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ভর্তি হয়েছিলেন সাবিলা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় পরিবর্তন করে ইংরেজি সাহিত্যে চলে আসেন। তবে তার এই সিজিপিএ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন নিয়ে ট্রল হতে থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সম্প্রতি সিজিপিএ নিয়ে ট্রলের বির্তকের জবাব দিলেন এই অভিনেত্রী। 

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোষ্ট করেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। 

পোস্টে তিনি লেখেন, যারা বলছেন আমাকে এনএসইউ এবং ব্র্যাক থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল, তাদের জন্য এই পোস্ট। আমার এআইইউবি এবং ব্র্যাক দুটোর গ্রেডশীট আমি পোস্টে দিয়েছি, আশা করি এই প্রশ্নের জবাব আপনারা পেয়ে যাবেন। হ্যাঁ, এনএসইউ তে আমার গ্রেড ভাল ছিল না, কিন্তু আমাকে বের করে দেয়া হয়েছিল সেটা ভুল। তখন আমি মাত্রই নাটকে কাজ শুরু করি এবং আমি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে গিয়েছিলাম। 

এছাড়া আমি এমন একটা ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছিলাম যেখানে আমার পড়ার আগ্রহ ছিল না, পরিবারের চাপে ভর্তি হওয়া। আমি কিছু সময়ের জন্য আমেরিকা চলে যাই, এবং ফিরে এসে আমার মেজর এবং ইউনিভার্সিটি দুটোই পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেই।

ব্র্যাকে আমি তিন সেমিস্টার ছিলাম এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত ভিসি তালিকাভুক্ত ছাত্রীও ছিলাম, কিন্তু যখন আমাকে বলা হল টার্কে যেতেই হবে, আমি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ি। শুধুমাত্র মিডিয়ার কাজের জন্য নয়, আমি তখন ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম, এবং আমি জানতাম পরিবার ছাড়া তিনমাস থাকা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। তারপরই আমি এআইইউবি তে ক্রেডিট ট্রান্সফার করি এবং আমার জন্য সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। 

এই পথ চলায় আমার যত বাধা এসেছে, ততই আমার জিদ চেপে গিয়েছিল পড়াশোনার। সকালের ক্লাসগুলো করে আমি নাটকের কাজে যেতাম, অনেক রাতে বাড়ি ফিরে পড়াশোনা করতাম, দুই-এক ঘন্টা ঘুমিয়ে আবার ক্লাস করতাম।

আমার সিজিপিএ আমার হার না মানা পরিশ্রম-সংকল্প আর আমার পরিবার ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণার ফসল। যেটা ছিল আমার পরম আরাধ্য কিছুর উদযাপন, আপনাদের ট্রোল-মিম-এবং ভয়ানক মিথ্যা কিছু অভিযোগে সেটা হয়ে যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের মত। ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজ এর পিছনে যে একজন সত্যিকারের রক্তমাংসের মানুষ আছে সেটা ভুলে যাননি তো? এআইইউবির অথোরিটিকে পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে! কি ভয়াবহ!

মানুষ কি নতুন করে শুরু করে সফল হতে পারে না? বদলাতে পারে না? নিজের লক্ষ্য অর্জনে নিজের সবটা দিয়ে উঠেপড়ে লেগে পড়তে পারে না? আমরা কি এতটাই অসহনশীল হয়ে পড়েছি যে কোনো রকম কারণ ছাড়াই একজনের ভীষন পরিশ্রমের একটা ভাল খবরকে দুঃস্বপ্ন বানিয়ে দিতে একটুও দ্বিধা করছি না?


সর্বশেষ সংবাদ