চিরচেনা রূপে ব্যস্ত রাবিপ্রবি
বৈসাবি, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, মে দিবস, বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি কাটিয়ে স্বরূপে ফিরেছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। টানা দুই মাস বিভিন্ন ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন।
আম, লিচু আর কাঠাঁলের আঠালো সম্পর্কের মতোই ৬৪ একরের এই ক্যাম্পাসের সাথে নিবিড় ভালোবাসায় পার করা রাবিপ্রবিয়ানরা তাই ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রেণিকক্ষে। ক্লাস, পরীক্ষা আর টেক ফেস্ট কে ঘিরে আবারো চির ব্যস্ত এখন রাবিপ্রবি। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলমান বাসের চাকার ঘূর্ণন গতি, হর্ণ আর শিক্ষার্থীদের আনাগোনা যেন এই ব্যস্ততা কে আবারো নতুন করে চিনিয়ে দেয়। ঠিক কতদিন পরে এমন গ্রীষ্মের গরমে ব্যস্ত সময় পার করছে রাবিপ্রবিয়ানরা? এমন প্রশ্ন তোলার আগে মনে হতেই পারে গত বছরে তো এই একই সময়ে লকডাউনে ঘর নামক ঐ গুহায় আটকে থেকে প্রিয় ক্যাম্পাসে আবারো সবাই এক সাথে ফেরার যে আকুতি ছিলো তা বোধ হয় এখন শুধুই অতীতের পাতায়। সেসব দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে কোন ধরণের প্রাণহানী ছাড়াই রাবিপ্রবিয়ানরা যে তাদের নিজ ক্যাম্পাসে আবারো ফিরতে পেরেছে এর চেয়ে আনন্দের আর কি বা হতে পারে!
সরজমিনে দেখা গেছে জৈষ্ঠ্যের এই মধুমাসে ক্যাম্পাসে পালা করে চলছে আম,লিচু আর কাঠাঁল পারার ধুম। প্রচণ্ড রোদে, ঘামে ভিজে ক্লান্ত শরীর নিয়ে হলেও থেমে নেই সিঙ্গেল ব্রিজ পয়েন্টের একটু আড্ডার স্বভাব। সাদা কাশফুল না থাকলেও সাদা মেঘের ছুটে চলা ও সিঙ্গেল ব্রিজ পয়েন্টের নিচে সবুজের গালিচা বিছিয়ে থাকা ঘাসের দোল খাওয়ার ব্যাপারটা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন না করলে হয়তো গরমের এই প্রখর সময়ের গল্প এড়িয়ে যাওয়া হবে। কিছু সময় তো নিয়ম করেই এই ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়ে যায়।
করোনা মহামারীর পরে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পাওয়া রাবিপ্রবির দুরন্ত এই চলারপথ চলতে থাকুক অনন্তকাল ধরে। নীল-সবুজের মাঝে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকা লাল পাহাড়ের রাঙ্গা ধূলোয় রঙ্গিন হয়ে উঠুক রাবিপ্রবিয়ানদের পা।