যেভাবে রাত কেটেছে শাবিপ্রবি ভিসির

অন্ধকারে রাত কেটেছে শাবিপ্রবি ভিসির
অন্ধকারে রাত কেটেছে শাবিপ্রবি ভিসির  © সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর অন্ধকারে কেটে গেছে একটি রাত। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনের সামনে মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না তারা।

এদিকে, গতকাল রবিবার আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের ১০০ ঘণ্টা সময় অতিক্রম করেছে। তবে দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিন রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চ থেকে মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসির বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্বর হয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছ পর্যন্ত যায়। পরে আবার একই স্থানে এসে মিলিত হয়ে রাত ১০টায় উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাস ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ বলেন, আমাদের আন্দোলনের দশম দিন শেষ হয়েছে, অনশনের পঞ্চম দিনও শেষ হয়েছে। এতে অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার হলেও ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য তাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভিসির বাসভবনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় আ.লীগের নিন্দা

তবে ভিসির বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়টি জেলা আওয়ামী লীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। শিক্ষক সমিতি বিবৃতিতে জানিয়েছে, উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নকারীদের কর্মকাণ্ডে শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শাবি শিক্ষক সমিতি এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই সমর্থন করে না।

এদিকে বর্তমানে অনশনে ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গণঅনশনে যোগ দিয়েছেন তিন ছাত্র ও দুই ছাত্রী।


সর্বশেষ সংবাদ