বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শিক্ষার্থীদের উদ্‌যাপনে বাধা বুয়েট কর্তৃপক্ষের

এ ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
এ ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ  © সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের উদ্‌যাপনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ছাত্রীদের দ্রুত হলে প্রবেশ করতে বলা হয়। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী দেয়ালচিত্র ও গ্রাফিতি এঁকেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব দেয়ালচিত্র ও গ্রাফিতিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের ‘স্বৈরাচারী আচরণের’ কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ।

বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র শীর্ষ সংশপ্তক বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অনেক বছর ধরেই ক্যাম্পাসে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর উদ্‌যাপন করে আসছেন। সবাই মিলে ক্যাম্পাসের দেয়াল রং করা বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছেলেমেয়ে–নির্বিশেষে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতেও কর্মসূচি ছিল। এ বছর প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিজয় দিবসের কর্মসূচির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। বুধবার রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু রাত ১২টার দিকে হঠাৎ কর্তৃপক্ষের মনে হয় যে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ জানানো হয় যে মেয়েরা দেয়াল রং করায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং তাদের দ্রুত হলে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সবাইকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করা হয় ও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ রাত পৌনে একটার দিকে ছাত্রীদের সাবেকুন নাহার সনি হলের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছাত্রীরা বারবার ফটকে যাওয়া সত্ত্বেও তা খোলা হয়নি। আড়াইটার দিকে বুয়েটের ডিএসডব্লিউর কাছ থেকে থেকে নির্দেশ আসার পর তাদের হলে ঢুকতে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১০০-১৫০ জন শিক্ষার্থী বাইরে অবস্থান করেন। তারাই গ্রাফিতিগুলো আঁকেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুধবার রাতের ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে এখানে যোগাযোগের একটা ঘাটতি (মিসকমিউনিকেশন) হয়েছে, তারা এর জন্য দুঃখিত। সার্বিক বিষয়ে আগামী রবিবার একটি সভা করার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।


সর্বশেষ সংবাদ