বরাদ্দ বাসায় থেকেও প্রতি মাসে ভাড়া নিয়েছেন উপাচার্য

উপাচার্য মো. দিদার-উল আলম
উপাচার্য মো. দিদার-উল আলম  © ফাইল ফটো

বরাদ্দ করা বাংলোতে থেকেও মাসে ৬০ হাজার টাকা বাড়িভাড়া বাবদ ভাতা নিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. দিদার-উল আলম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলো থাকার পরও বাড়িভাড়া ভাতা নেওয়া শুধু অনিয়ম নয়, নৈতিকতাবিরোধী কাজও। বাড়িভাড়া বাবদ এ পর্যন্ত নেওয়া পুরো অর্থ উপাচার্যকে ফেরত দিতে হবে বলেও জানিয়েছে ইউজিসি।

শুধু বাড়িভাড়া ভাতা নয়, উপাচর্যের জন্য কেনা ২০১২ সালে কেনা পাজেরো মডেলের জিপগাড়ির ব্যবহার নিয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে। গাড়িটি রাখা হয় ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবনে। অভিযোগ রয়েছে, গাড়িটি ঢাকায় উপাচার্যের পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করেন। ইউজিসি গাড়িটি ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে।

তবে উপাচার্যের দাবি, বাড়িভাড়া ভাতা ও গাড়ি ব্যবহারের এই প্রথা আগে থেকেই চলে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, উপাচার্যের বাড়িভাড়া ভাতার বিষয়ে গত ১১ জুন এক সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে উপাচার্য এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। আর গাড়িটি ঢাকায় সাবেক উপাচার্যের স্ত্রী ব্যবহার করতেন। এখনো ওই গাড়ি ঢাকায়ই রয়েছে।

পড়ুন: নোবিপ্রবি উপাচার্যকে অনিয়মের টাকা ফেরতের নির্দেশ

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলো থাকার পরও বাড়িভাড়া ভাতা নেওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করতে দেওয়ার ঘটনা শুধু অনিয়ম নয়, নৈতিকতাবিরোধী কাজও। মাসে ৬০ হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া ভাতা দাঁড়ায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকার মতো। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। অবশ্য উপাচার্যের দাবি, আগে থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।

উপাচার্য মো. দিদার-উল আলম বলেন, ঢাকায় ভাড়া নেওয়া বাসাটি তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলোও তিনি আর ব্যবহার করবেন না। একসঙ্গে দুটো বাড়ির ভাড়া দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি ভবনে থাকবেন। গাড়ির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আগের উপাচার্যরা দুটি গাড়ি অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। ব্যবহারও করতেন। কিন্তু তখন কোনো কথা ওঠেনি। এখন এসব কথা উঠছে। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।


সর্বশেষ সংবাদ