লাইফ সাপোর্টে থাকা যমজ নবজাতকের মাকে বাঁচানো যায়নি

লাইফ সাপোর্টে থাকা যমজ নবজাতকের মাকে বাঁচানো যায়নি
লাইফ সাপোর্টে থাকা যমজ নবজাতকের মাকে বাঁচানো যায়নি  © ফাইল ছবি

যমজ সন্তান প্রসবের পর করোনা পজিটিভ নিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার শাম্মী মারা গেছেন। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শারমিনের তত্ত্বাবধায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওহী চৌধুরী এবং শারমিনের বড় বোন সাথী খাতুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন। বড় বোন সাথী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী।

ওহী চৌধুরী আরো জানান, শারমিন পাবনা পৌর শহরের কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। গত ১৩ জুলাই শারমিন করোনার উপসর্গ নিয়ে আট মাসের গর্ভবতী অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি জানান, ঢাকায় এসে বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে অবশেষে রাজারবাগে প্রশান্তি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। পরে, ১৫ জুলাই ডেলিভেরী সিদ্ধান্ত হলে তিনি যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের পর শারমিনের অবস্থার আরো হলে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

বড় বোন সাথী খাতুন জানান, শারমিনের দুই সন্তানের অবস্থা আগের থেকে ভালো। তারা উভয়ে এনআইসিউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, গত বুধবার (২১ জুলাই) তার চিকিৎসা সহায়তার জন্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘করোনা আক্রান্ত মা ও নবজাতক লাইফ সাপোর্টে, সহায়তা আবেদন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে অনেক পাঠক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

এদিকে, শারমিনের অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার মৃত্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী শারমিনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।

সহপাঠী মতিউর রহমান, লিংকনসহ অনেক তার স্মৃতিচারন করেন। তারা বলেন, আমরা প্রিয় বান্ধবীকে হারালাম। সবসময় হাসোজ্জল এবং মিশুক ছিলো শারমিন। আমরা খুব ব্যথিত। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন শারমিনকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।


সর্বশেষ সংবাদ