মেস মালিকদের বনভোজনে হাবিপ্রবি বাস, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১৫ PM , আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১৫ PM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের বাস দিনাজপুর মেস মালিক সমিতির বনভোজনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো দিনাজপুর রামসাগরে মেস মালিক সমিতির ব্যানারসহ দেখা গেছে বলে জানান অভিযোগকারীরা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বিন ইয়ামিন সুফী নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মেস মালিক সমিতির ব্যানারসহ বাসের ছবি পোস্ট করলে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পোস্টে মানিক মিয়া নামের একজনে মন্তব্য করেছেন, ডিপার্টমেন্টাল ট্যুরের সময় বাস থাকে না,গাড়ি রিকুইজিশনের সময় কত রুলস আর মেস মালিক সমিতি ঠিকই বাসে করে পিকনিকে যায়।
তাবাসসুম ফেরদৌস নামে একজন লিখেছেন, আমাদের (মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, লেভেল১-এমবিএ) পিকনিক ছিলো, বাস লিজ পাইনি বলে পিছিয়ে দিয়ে ৭ তারিখ পর্যন্ত। আর তারিখ পরিবর্তন করায় ৫০% ছাত্রছাত্রীই এটেইন করবেনা। এখন হযবরল অবস্থা! আর ওদিকে প্রশাসন কি সুন্দর সার্ভিস দিচ্ছে!
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিন ইয়ামিন সুফী এ বিষয়ে বলেন, কালকে দেখলাম গাড়িটি মেস মালিক সমিতির ব্যানারে রামসাগরে পিকনিকে গেছে। পরে বিস্তারিত জানতে পারলাম পরিসংখ্যান বিভাগের সাইফুর স্যার গাড়িটি তার পারিবারিক প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে রিকুইজিশন নিছে। কিন্তু তিনি সেই তথ্যটা গোপন করে দিনাজপুর মেস মালিক সমিতির পিকনিকে গাড়িটি ব্যবহার করা হলো।
তবে রিকুইজিশন প্রদানকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান জানান, পারিবারিক প্রোগ্রামের জন্যই বাস রিকুইজিশন দেয়া হয়েছিল। হাবিপ্রবি যেমন একটি পরিবার মেস মালিক সমিতিও আমার সে রকম একটি পরিবার। আর পিকনিকে আমিও গেছিলাম। তবে বাসে মেস মালিক সমিতির ব্যানার ব্যবহার করা ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মফিজুল ইসলাম জানান, পারিবারিক প্রোগ্রামের কথা বলে কেউ যদি তথ্য গোপন করে গাড়ি অন্য কাজে ব্যবহার করে তাহলে প্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আগে জানলে আমি হয়তো গাড়িটি দিতাম না। এরপরেও আমি গাড়ি কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার হবে তা ওনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি পারিবারিক প্রোগ্রামের কথাই বলেছেন। আমরাও চাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বাহিরের অন্য কোন কাজে ব্যবহৃত হোক।