পাবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের অভিযোগ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)  © সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) নিয়ম ভেঙে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাবিপ্রবি ও পাবনা শহরের সাংবাদিকরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় রোটেশন অনুযায়ী। একবার যে পত্রিকা বিজ্ঞাপন পায় পরের সিরিয়ালে থাকা পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন পাওয়ার পর ঐ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কিন্তু এই নিয়ম ভেঙে সম্প্রতি তিনটি পত্রিকাকে পরপর দুটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বরের অধ্যাপক নিয়োগের একটি বিজ্ঞাপন দেশের একটি বাংলা দৈনিক, একটি ইংরেজি দৈনিক এবং একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় দেওয়া হয়। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক নিয়োগের একটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরে চিঠি আসে। নিয়ম অনুযায়ী সোমবারের বিজ্ঞাপনটি ঐ তিনটি পত্রিকার পরের সিরিয়ালে থাকার কথা থাকলেও আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের দপ্তর থেকে পূর্বের তিনটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার ফাইল পাশ হয় এবং ঐ তিনটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পাঠানো হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাবিপ্রবি ও পাবনা শহরের সাংবাদিকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা শহরের এক সাংবাদিক বলেন, এই রকম অনিয়মের সাক্ষী আমরা আগেও অনেকবার হয়েছি। এখন যেহেতু ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে আমরা ভেবেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোভাবের পরিবর্তন হবে। কিন্তু আজকের ঘটনায় আমরা দেখতে পাচ্ছি শুধু সরকারই পরিবর্তন হয়েছে, পাবিপ্রবি প্রশাসনের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি।

পাবিপ্রবিতে কর্মরত এক সাংবাদিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম আগেও ছিল এখনো আছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এই নিয়ম ভাঙার সাথে যারা জড়িত আমরা চাই নতুন উপাচার্য তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনুক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন রোটেশন অনুযায়ী যায়। আজকের বিজ্ঞাপনও সেভাবে যাওয়ার কথা। কিন্তু আজকের বিজ্ঞাপন কাকে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে আমার কোন মতামত নেওয়া হয়নি, তাই এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছিনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক করেছেন। আমরা উনার সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করতে পারি না। বিষয়টা নিয়ে উনার সাথে কথা বললেই ভালো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞাপন কোনভাবে পত্রিকায় যায় সেটা আমি জানি না। জনসংযোগ দপ্তর থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। তাই পূর্বের যে তিনটা পত্রিকাকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে আমি আজকে সেই তিনটা পত্রিকাকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ