পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষকদের মৌন মিছিল

পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষকদের মৌন মিছিল
পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে যবিপ্রবি শিক্ষকদের মৌন মিছিল  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত নতুন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে মৌন মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (যবিপ্রবিশিস)।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবনের সম্মুখ থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরি ভবনের সামনে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শিক্ষক সমিতির নেতারা নতুন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত ১৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশন সংক্রান্ত একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারি করে, এতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ও গবেষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মৌন মিছিল করেছে।যবিপ্রবির শিক্ষকবৃন্দ মৌন মিছিলটিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

মৌন মিছিল শেষে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম এ প্রজ্ঞাপন জারির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে উল্লেখ করেন।

নেতৃবৃন্দ মনে করে এ প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ চরম বৈষম্যের শিকার হবেন এবং একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তারা আরও উল্লেখ করেন, এই প্রজ্ঞাপন জারির ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতা ও গবেষণায় আসতে আগ্রহী হবেন না এবং এর ফলস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে।

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তা প্রবর্তন করা ও অনতিবিলম্বে পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা ও অসন্তুষ্টি লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

 

সর্বশেষ সংবাদ