রাবিপ্রবিয়ানদের যেমন কাটছে রমজান

রাবিপ্রবিয়ানদের যেমন কাটছে রমজান
রাবিপ্রবিয়ানদের যেমন কাটছে রমজান  © টিডিসি ফটো

মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পুণ্যময় মাস পবিত্র রমজান। এ মাস একজন মুমিনের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের কারণ হয়ে আগমন করে। আর রমজানকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। যদিও মা-বাবা পরিবার-পরিজন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রমজান অনেকের। অনেকে আবার চার থেকে পাঁচ বছর ধরে ক্যাম্পাসে রমজান কাটাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ হওয়ার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী ফিরেছে আপন নীড়ে। রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( রাবিপ্রবি) এখনো ঈদের ছুটিতে যায়নি। তবে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা শেষের দিকে। তাই ইতিমধ্যে আপন গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। 

অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থীর টিউশন চলমান থাকার কারণে তারা অপেক্ষা করছেন বেতনের। খুব দ্রুত বেতন পেলে তারাও ফিরবেন আপন গন্তব্যে। বেশিরভাগ রমজান পার হয়ে গেলেও রাবিপ্রবি এখনো বেশ কর্ম চঞ্চল। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো এখনো খোলা। চলতি মাসের চার তারিখ অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

1ab7bc3f-f427-49b4-9390-06059903d6fb

এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারেও পবিত্র রমজান মাসের আগমনের সাথে সাথে রাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। শিক্ষা, সম্প্রীতি, প্রগতির এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রমজান মানেই আলাদা কিছু। বিশেষ করে সম্প্রীতির দিক বিবেচনা করলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ ব্যতিক্রমীও বটে। রমজান এলেই বিভিন্ন বিভাগের ইফতার আয়োজনে এই সম্প্রীতি যেন আরো বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিভাগের আয়োজনে শেষ হয়েছে ইফতার মাহফিল। বিভাগীয় উদ্যোগ বাদ দিয়েও ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ কর্মসূচি ও বাঁধনের ইফতার আয়োজন কর্মসূচি ছিল চোখে পরার মতো।

রাবিপ্রবির আবাসিক ছাত্র হলে রাত ও দিনের তফাত খুব বেশি চোখে পড়ে না। রাতে অন্ধকার হলেও ছাত্র হল থাকে আলোকিত। কেউ পড়াশুনো করে, কেউ ঘুমায় আবার কেউ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের রমজান পেয়ে আড্ডায় মাতে। রাতের এই আলোগুলোই রাবিপ্রবিয়ানদের ‘স্বপ্ন পূরণের গল্প’ লেখে। রমজান এসে সেই স্বপ্ন পূরণে মহান আল্লাহ তা’লার সন্তুষ্টি লাভের আশায় মশগুল থাকে ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা।

রাবিপ্রবির হলগুলো ক্যাম্পাস থেকে এখনো বেশ দূরে হওয়ায় ক্যাফেটেরিয়ায় ইফতার বা সেহরি কোনটিই করা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থীরা নিজ দ্বায়িত্বে কিংবা বিভিন্ন খাবার হোটেলে সেহরি ইফতার সেরে নেন। ইফতারে হলের ডাইনিং, ছাদ কিংবা রুম কোথাও ফাঁকা থাকে না।

5feb150e-7773-4b81-ab1d-2e574fbdffba

বর্তমানে ইফতারিতে রাবিপ্রবি যেন ধর্মীয় উৎসবের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। শুধু বিভাগ নয় বরং বিভাগের বাহিরে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলে ইফতার আয়োজন ও বিতরণ। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা এখন, ঠিক কবে সেহরি ও ইফতার তারা ৬৪ একর ক্যাম্পাসে আবার নিয়মিত করতে পারবেন?


সর্বশেষ সংবাদ