নতুন হলে উঠতে পারছেন না হাবিপ্রবির ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবির নতুন ছাত্রী হল
হাবিপ্রবির নতুন ছাত্রী হল  © টিডিসি ফটো

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) নতুন ছাত্রী হল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ রয়েছে। এটাচমেন্ট পরিবর্তন করে নতুন হলে সিট পেতে চান অনেকে। তবে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার থাকা সত্ত্বেও ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নতুন হলে উঠতে পারছেন না।

জানা গেছে, হাবিপ্রবির নতুন ছাত্রী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭, ১৮ এবং ১৯ ব্যাচের ছাত্রীদের নোটিশের মাধ্যমে সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা সিটের বিপরীতে ১৯ ব্যাচের পরবর্তী ব্যাচ হিসেবে ২০ ব্যাচের ছাত্রীদের বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য হল কতৃপক্ষ কোনো নোটিশ প্রকাশ করেনি। অথচ ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হলে সিট দেওয়া হয়েছে।

২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল একটি আবেগের জায়গা। আর তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্রী হল সবার আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। এজন্য সবাই নতুন ছাত্রী হলেই সিট নিতে আগ্রহী।

এ বিষয়ে নতুন ছাত্রী হলের সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, নতুন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ এবং ১৮ ব্যাচকে সিট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নির্দেশ ছিল। ১৯ ব্যাচকে সিট দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কনসিডার করেছিলাম। কেননা সে সময় ১৯ ব্যাচই ছিল সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাচ।

জ্যেষ্ঠতার প্রাধান্য দেওয়া হলে ২০ ব্যাচ সিনিয়র হলেও সিট না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট একটি হলে এটাচমেন্ট থাকে। এর বাইরে কেউ হলে উঠতে পারে না। ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আমরা তুলতে পারছি না। কেননা ২০ ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীর নতুন হলে এটাচমেন্ট নেই। সে কারণে আমরা চাইলেই তাদেরকে হলে সিট দিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের হলে উঠতে চাইলে তাদেরকে নিজস্ব হলের সুপারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কেননা হল সুপার তাদেরকে আমাদের হলে না দিতে চাইলে আমরা নিতে পারব না।

এটাচমেন্ট পরিবর্তন করে নতুন ছাত্রী হলে ওঠার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দুটি হল থেকে (আইভি রহমান হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হল) সিট ফাঁকা সাপেক্ষে ছাত্রী নিতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে হল সুপারের সঙ্গে ছাত্রীদের কথা বলতে হবে। তারপর সেসব হলের সুপার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা নোটিশের মাধ্যমে এবং ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে তাদের সিট দিতে পারবো।

আরো পড়ুন: রিডিং রুমের পাশে গাঁজার আসর বন্ধ চান বেরোবি শিক্ষার্থীরা

হল সুপার আরো বলেন, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে সিট সংখ্যা অনেক। তাদের সিট ফাঁকা সাপেক্ষে আবাসন সুবিধা দিতে পারবে। অন্যদিকে আইভি রহমান হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলে সিট কম। ফলে এ দুটি হলে যাদের এটাচমেন্ট আছে, তাদের আবাসন সুবিধা দিতে আগ্রহী আমরা। তবে তাদের অবশ্যই হল সুপারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

নতুন ছাত্রী হলে গণরুম রয়েছে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, এ হলে গণরুম নেই। তবে ছাত্রীরা দুটি রুমে ডাবলিং করে। এক্ষেত্রে আটটি সিটের বিপরীতে ১৬ জন থাকে। হলে উঠতে হলে প্রার্থমিকভাবে ডাবলিং করে থাকতে হয়। পরবর্তীতে রুমে সিট ফাঁকা হওয়া সাপেক্ষা তাদের দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, হাবিপ্রবির নতুন ছাত্রী হল প্রায় ৭০০ আসনবিশিষ্ট। এ হল অন্য হলের তুলনায় বেশ আধুনিক। হলের মূল ভবনের সঙ্গে একটি তিনতলা ভবন রয়েছে। সেখানে ডাইনিং, জিমনেশিয়াম ও রিডিং রুমের ব্যবস্থা আছে।


সর্বশেষ সংবাদ