কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৭ PM , আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০ PM
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ ঘটনায় কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয় খান জাহান আলী থানায় মামলাটি করেন।
গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে কুয়েটের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। এছাড়া ছাত্রাবাস থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার রাতে হলে উঠতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে একপক্ষ অপর পক্ষকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত করে এবং মাদকমুক্ত কুয়েটের জন্য তাদের সংগ্রাম জারি থাকার কথা ঘোষণা করে। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী আহত হন।