হাবিপ্রবির ফুড সায়েন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান রুবেল মজুমদার

অধ্যাপক ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার
অধ্যাপক ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার  © সম্পাদিত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ফুড সায়েন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার। আগামী তিন বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

বুধবার (১১অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার  অধ্যাপক  ড. মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এ আদেশ ১২ অক্টোবর হতে কার্যকর হবে।

২০০২ সালে চালু হওয়া হাবিপ্রবিতে ২০০৫ সালে ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশনসহ আরো তিনটি বিভাগ নিয়ে চালু হয় তৎকালীন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ফুড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ। বর্তমানে এটি আরও কিছু বিভাগের সংযুক্তিতে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ নামে পরিচিত। 

অধ্যাপক ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট থেকে ২০০৮ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ২০০৯ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ শিক্ষা নিতে ২০১২ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বেলজিয়ামে পাড়ি জমান। সেখানকার গেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে নিউট্রিশন এন্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট: হিউম্যান নিউট্রিশন মেজরিং পাবলিক হেলথ বিষয়ে ২০১৪ সালে অ্যাডভান্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন । এরপর ২০১৬ সালে কোরিয়ান সরকারি বৃত্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে সেখানে ২০২০ সালে চননাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে  ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন (মেটাবলোমিক্স) এর উপর পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির ফিশারিজ পুকুরে পড়ে ডুবে গেলেন দুই কলেজছাত্রী

পুনরায় চেয়ারম্যান হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে অধ্যাপক ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার  বলেন, একজন শিক্ষকের জন্য বিভাগীয় প্রধান হওয়া অবশ্যই সম্মান ও গৌরবের বিষয়। এজন্য আমি হাবিপ্রবি’র বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলের প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, উত্তরবঙ্গে শুধুমাত্র হাবিপ্রবিতে খাদ্য সম্পর্কিত ডিগ্রী ‘ফুড এন্ড প্রসেস ইন্জিনিয়ারিং’ পড়ানো হয় যেখানে ফুড সায়েন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগ তিনটি মূল ডোমেইন বা পরিধিতে আলোকপাত করা হয়। অবশ্য ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রী হওয়াতে হিউম্যান ও কমিউনিটি নিউট্রিশন এবং ফুড পলিসি এবং সেফটি সংক্রান্ত কোর্স কারিকুলাম ও গবেষণায় এখানে ছাত্রদের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।তাই এককভাবে যদি এই বিভাগ থেকে ডিগ্রী চালু করা হয় তবে তা এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি সংক্রান্ত বিদ্যায় নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে বলে আমি মনে করি।

বর্তমানে তিনি চাসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের মেটাবলিমিক্স, বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাসহ কমিউনিটি নিউট্রিশনের উপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের (ক্যাডস) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ