যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

৫০০ টাকা কোর্স রেজিষ্ট্রেশন ফির বিলম্ব ফি ২০০০ টাকা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) সম্প্রতি স্নাতকের বিভিন্ন বর্ষে কোর্স রেজিষ্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে যা চলবে আগামী ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এতে এক সেমিস্টারে কোর্স রেজিষ্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। আর এ ফি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে না পারলে বিলম্ব ফি গুনতে হবে আরও ২০০০ হাজার টাকা।
 
শুধু তাই নয়, কোর্স রেজিষ্ট্রেশনের প্রায় একই সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে সেমিস্টার ফি পরিশোধের তারিখও। প্রতিটি শিক্ষার্থীর সেমিস্টার ফি ধরা হয়েছে ৩৩৪০ টাকা। সেমিস্টার ফি গ্রহণ শুরু হয়েছে গেল ০৫ মার্চ থেকে। যা শেষ হয়েছে গেল বুধবার (২৯ মার্চ)। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেমিস্টার ফি প্রদানের সময়সীমা আরও ২ সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে গেল বুধবার (২৯ মার্চ) সেমিস্টার ফি প্রদানের এ সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে কোর্স রেজিষ্ট্রেশন ফির অতিরিক্ত জরিমানা নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
কোর্স রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখের পর নিম্নে বর্ণিত হারে বিলম্ব ফি প্রদান সাপেক্ষে কোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে। একাডেমিক অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী বিলম্ব ফি ০৩ কার্য দিবস পর্যন্ত ২০০/- টাকা, ০৪-১০ দিন পর্যন্ত ৫০০/- টাকা, ১১-২০ দিন পর্যন্ত ২০০০/- টাকা।
 
 
এদিকে, একইসময়ে দুইটি বড় ফির তারিখ নির্ধারণ ও ‘অতিরিক্ত’ বিলম্ব ফি নির্ধারণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষে। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রমজান মাস, একই সময়ে একাধিক একাডেমিক ফির নোটিশ ও কম সময়সীমা শিক্ষার্থীদের উপর আর্থিক বোঝা হয়ে দেখা দিয়েছে।
 
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মীর ইবরার আলী প্রত্যয় নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানে জানতাম—সেখানে কম খরচে উন্নত মানের লেখাপড়ার সুযোগ রয়েছে। ৬ টাকা বেতন দিয়ে সরকারি স্কুলে পড়ারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানের পরিস্থিতি দেখে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পার্থক্য খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আলম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি আমি ফেসবুকে দেখেছি। আমি যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো। আশা করছি, একটা সমাধান করতে পারলে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপারটা আর বোঝা হবে না।

সর্বশেষ সংবাদ