শাবিপ্রবির ফাঁকা ৬৮ আসনে আজ স্পট অ্যাডমিশন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এখনও ৬৮টি আসন শূন্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এসব আসন শূন্য থাকা পর্যন্ত আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরাসরি ভর্তি বা স্পট অ্যাডমিশন নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ৬৮টি আসনের মধ্যে সমুদ্রবিজ্ঞানে ২টি, এনথ্রোপলিজিতে ১৭টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৪টি, সমাজকর্মে ২৩টি এবং সমাজবিজ্ঞানে ২২টি অসন ফাঁকা রয়েছে। এব আসনে ভর্তির জন্য আজ রোববার ৯,৪০১ থেকে ১০,৫০০ সিরিয়ালের মেধাক্রমধারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোটাধারীদেরও ডাকা হয়েছে।

সকাল ৯টা থেকে কোটার ও বেলা দুইটা থেকে মেধাক্রমের সাধারণ ভর্তিচ্ছুদের সাক্ষাৎকার ও ভর্তি নেওয়া হবে। এর আগে সাতটি মেধাতালিকা প্রকাশের পরও আসন পূর্ণ করতে পারে নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরে স্পট অ্যাডমিশনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দুই ধাপে স্পট এডমিশনের পরও ৬৮ টি আসন শূন্য রয়েছে। 

যারা আগে কোনো বিষয় বরাদ্দ পাননি, তারা ভর্তির সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অন্তত ১৫ হাজার টাকা সঙ্গে রাখতে হবে। এ ছাড়া মূল সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজ আনতে বলা হয়েছে। সবার রক্তের গ্রুপের প্রমাণও সঙ্গে রাখতে হবে। আসন শূন্য থাকা পর্যন্ত মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি চলবে।

ভর্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির দীর্ঘসূত্রিতা, বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন ওপেন থাকা এসকল কারনেই আসন সংখ্যা খালি থাকছে। অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তির পরে মাইগ্রেট হয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ায় একই আসন একাধিকবার শূন্য হচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘চলতি বছরের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে সময় বেশি প্রয়োজন হচ্ছে এটি সঠিক। তবে শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছোটাছুটির যে ভোগান্তি সেটি লাঘব হয়েছে। আমি মনে করি এবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে এই সিস্টেমকে আরও সময়োপযোগী করে তোলার সুযোগ রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বসার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে ৩০ জুলাই, ১৩ আগস্ট ও ২০ আগস্ট যথাক্রমে এ, বি ও সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রায় ১০ মাস পর হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারে নি।


সর্বশেষ সংবাদ