বঙ্গবন্ধু’র প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালির আলোর পথে যাত্রা: পবিপ্রবি উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু’র আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধু’র আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ মি. বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু’র আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য  প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। 

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য পাদদেশে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো: কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ”বঙ্গবন্ধু’র মুক্তি খুব সহজ বিষয় ছিলনা। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে না পেরে বাধ্য হয়ে তাঁকে মুক্তি দিতে হয়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে”।

তিনি আরও বলেন, “তার আগমনের ছোয়ায় পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে বাঙালি জাতি যখন কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি তখন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই আদর্শ অনুসরন করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।” 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যলয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।


সর্বশেষ সংবাদ