রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিএসএমআরএএইউতে বুটক্যাম্পিং

‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ বুটক্যাম্পিং
‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ বুটক্যাম্পিং   © ফাইল ছবি

দেশীয়ভাবে মডেল রকেট ডিজাইন, উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমআরএএইউ) ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ এর দুইদিনব্যাপী বুটক্যাম্পিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রকল্পের অধীনে বিএসএমআরএএইউ-এর ঢাকা (অস্থায়ী) ক্যাম্পাসে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর এই বুটক্যাম্পটি আয়োজিত হয়। 

আরও বলুন: বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যার মোটিভ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছে র‌্যাব

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল দেশীয় প্রযুক্তিতে মডেল রকেট ডিজাইন, উন্নয়ন এবং তৈরির জন্য প্রতিভা অন্বেষণ করা। প্রাথমিকভাবে এ কর্মসূচিতে সমগ্র দেশ থেকে ১২১টি দল তাদের আইডিয়া অনলাইনে জমা প্রদান করেন। 

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং আইসিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি বুটক্যাম্পিংয়ের জন্য ৩২টি দলকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে। দুইদিনব্যাপী এ আয়োজনে উক্ত ৩২ টি দলকে বিএসএমআরএএইউ-এর শিক্ষকবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞগণ রকেট্রি বিষয়ে কারিগরি ও অন্যান্য পরামর্শ প্রদান করেন।   

আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিএসএমআরএএইউতে ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ বুটক্যাম্পিং শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বুটক্যাম্পিংয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।

আইসিটি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আজকের এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা যে যাত্রা শুরু করেছি তা একদিন বাস্তবায়িত হবে এবং বাংলাদেশের পতাকা মহাশূন্য ভেদ করে চাঁদ, মঙ্গলসহ বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহে স্থান করে নিবে। 

এ সময় তিনি বুটক্যাম্পিংয়ে অংশগ্রহণকৃত সকলকে স্বাগত জানিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানে জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মের আগ্রহকে সাধুবাদ জানান। এ মহৎ প্রচেষ্টায় বিএসএমআরএএইউ সকল সময় পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মাহমুদ হোসেন, ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও এর প্রতিনিধিবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ